স্পোর্টস ডেস্ক : ৫১ রানের ‘কঠিন’ লক্ষ্যটা পেরোতে ৬.১ ওভার লাগল ভারতের। অর্থাৎ ৩৭ বল ব্যাট করেই ১০ উইকেটের জয়। এশিয়া কাপের ফাইনালের সবচেয়ে দাপুটে জয় পেয়েছে ভারত। এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল আরেকটি শিরোপা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে কম বলে ম্যাচ শেষ করার রেকর্ডটি অন্তত অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে রেখে জেতার রেকর্ডটা শ্রীলঙ্কারই ছিল। ২০০১ সালে কলম্বোতেই জিম্বাবুয়েকে মাত্র ৩৮ রানে অলআউট করে ৪.২ ওভারে লক্ষ্য পার করেছিল লঙ্কানরা। এবার সেই কলম্বোই সুদে-আসলে কষ্টটা ফেরত দিল লঙ্কানদের। আর তাতেই আট শিরোপা নিয়ে এশিয়া কাপের সফলতম দল হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার চেয়ে ব্যবধানটা আরেকটু বাড়িয়ে নিল ভারত।
মোহাম্মদ সিরাজের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে ৫০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল এশিয়া কাপের সহ-আয়োজকরা। কলম্বোর মাঠে ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি হচ্ছে, গোটা টুর্নামেন্টকেই জ্বালিয়েছে বৃষ্টি। আজকের ফাইনালও তার ব্যতিক্রম ছিল না। শুরুতেই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পিছিয়ে যায় চল্লিশ মিনিটের মতো। পুরো টুর্নামেন্টে বৃষ্টির যন্ত্রণায় সবচেয়ে বেশি ভুগেছে খুব সম্ভবত ভারতই। গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচের একটা পরিত্যক্ত, আরেকটার ওভার কমতে কমতে টি-টোয়েন্টিতে রূপ নিয়েছিল। সুপার ফোরেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ হয়েছে দুই দিনে। সব মিলিয়ে যত বৃষ্টিই হোক না কেন, ফাইনালে দ্বিতীয়বার বৃষ্টির হওয়ার আগেই ভারত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিল খুব সম্ভবত, নয়তো সিরাজদের এমুন রুদ্রমূর্তি কেন!
৫১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই হাত খুলে খেলেছে ভারত। লক্ষ্য নাগালে বলেই কি না, নিজে না নেমে ঈশান কিষাণকে ওপেনিংয়ে নামিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ওপেনিং পজিশনে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলো আরকি। কিষাণ আর শুভমান গিল মিলে মোট নয়টি চার মেরে ম্যাচ শেষ করতে দিয়েছেন। ১৮ বলে তিন চারে ২৩ করেছেন কিষাণ, ১৯ বলে ৬ চারে ২৭ গিলের। মাঝে দুই ওভার আঁটসাঁট বোলিং করে ভারতকে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জেতার রেকর্ডটা হতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগে।
তাতে ভারতের হাতে শিরোপা ওঠার অপেক্ষাটা দীর্ঘই হয়েছে শুধু!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।