আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রাক্তন অধ্যাপিকা অভিযোগ করেছেন, তাঁর সুইমস্যুট পড়া ছবির জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ছাঁটাই করেছে।
নীতিপুলিশীর অভিযোগ! তাও কলকাতার অন্যতম নামি প্রতিষ্ঠান সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ‘প্রাক্তন’ অধ্যাপিকার অভিযোগ তাঁর ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে ‘সুইমস্যুট’ পরা ছবি দেখে নাকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর অক্টোবর মাসে ঘটনাটি ঘটে।
ওই অধ্যাপিকার মতে, তিনি বেড়াতে গিয়ে সুইমস্যুট পরে তিনি একটি ছবি দিয়েছিলেন। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র সেই ছবি নাকি ওই অধ্যাপিকার ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে দেখতে পায়। নিজের অভিভাবকদের এই ছবি দেখানোয়, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ জানায়। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাইস চ্যান্সেলর একটি বৈঠক ডাকেন। ওই অধ্যাপিকাকে ভিসি এর অফিসে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেখানে তিনি রিপোর্ট করলে, তাঁকে নিজের চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। তিনি আরও বলেন, তাঁর হাতে লিখিত অভিযোগপত্র আসেনি। তাঁর সামনে পুরো বিষয়টি পড়া হয়, এবং তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
গোটা বিষয়টি আপাতত বিচারব্যবস্থার আওতাধীন। ওই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ওই অধ্যাপিকাকে কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, 99 কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে, জরিমানা হিসাবে। ওই অধ্যাপিকা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এমনটাও বলা হয়েছে। সেই জন্যেই ওই বিপুল টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রথমত, ওই অধ্যাপিকা গোটা ঘটনাটি নিয়ে যাদবপুর থানায় FIR দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন– তাঁর ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলের ছবি, যেটি কেবলমাত্র তাঁর নির্দিষ্ট পরিধির মধ্যে থাকা বন্ধুরাই দেখতে পেতেন, সেটি কী ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে? দ্বিতীয় প্রশ্নটি আবার নীতিপুলিশির। প্রশ্ন উঠছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক স্বাধীন নাগরিক তিনি কী পোষাক পরবেন, অথবা কী ছবি দেবেন সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কী ভাবে সেই ছবি দেওয়ার জন্য তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে? সামাজিক নেট মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।