জুমবাংলা ডেস্ক : কিছুদিন আগেও হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে মিরপুর ছিল এক ধ্বংসস্তূপের নগরী। সেই নগরীই শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ছোঁয়ায় আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সড়কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের ফলে অনেকেই বলছেন, ‘মিরপুর এখন যেন এক টুকরো ইউরোপ!’
রবিবার (১১ আগস্ট) সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর ১, ২, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ নম্বর, সনি সিনেমা হল, ভাষানটেক, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়াসহ আশেপাশের প্রায় সব এলাকার সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ইউরোপের মতোই বদলে গেছে মিরপুর।
বিশেষ করে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর ছিল মিরপুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। আন্দোলনের সময়ে এই পয়েন্টেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই শিক্ষার্থীরাও এই পয়েন্টকে কেন্দ্র করেই পুরো মিরপুরে দেশ সংস্কারের কাজ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মিরপুর।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ, সড়কের দেয়ালে দেয়ালে লিখন ও অভিনব সব শিল্পকর্ম আঁকা। জেব্রা ক্রসিং ও ফুটওভার ব্রিজ মেনে রাস্তা পারাপার করা। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও গাড়ি থামানো বন্ধ করা। নির্ধারিত স্টপেজে যাত্রী উঠা-নামা করা। অন্য সময় গাড়ির গেট লকা রাখা। সড়কের প্রতিটা লেন মেইনটেইন করা। অ্যাম্বুলেন্স ও রিকশার জন্য আলাদা লেন করা। গোলচক্করগুলোতে বাঁয়ের গাড়ি বাঁয়ে ও ডানের গাড়ি ডানে চলাচল নিশ্চিত করা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাগুলো পরিস্কার ও নিরাপত্তা দেয়া থেকে শুরু করে সব কাজই করছেন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বয়সি শিক্ষার্থীরা। তাদের ছোঁয়াতেই বদলে গেছে মিরপুরের চিত্র।
ট্রাফিকের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা
আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা পেলেও, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরদিন থেকে এখনও পর্যন্ত রাজধানীর সড়কগুলোতে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। তারাই প্রধানত সড়কে গাড়ি চলাচলসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন।
ঢাকার সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সিংহভাগ শিক্ষার্থীর অবস্থানই ছিল সড়কে। সিগন্যালগুলোতে শিক্ষার্থীরা পালা করে দায়িত্বপালন করছেন। কয়েক জায়গায় তাদের সঙ্গে আনসার সদস্যদেরও দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়কে কাজ করছেন। তারা যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন নিশ্চিত করছেন। একইসঙ্গে কেউ যেন হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে না পারেন সেদিকেও রাখছেন কড়া নজর। কিছু কিছু গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ি চেক করছেন। জেব্রা ক্রসিং ও ফুটওভারব্রিজ মেনে রাস্তা পারাপার হতে যাত্রীদের অনুরোধ করছেন। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও গাড়ি থামানো বন্ধে কাজ করছেন। যাত্রীবাহী বাস গেট লক রেখে নির্ধারিত স্টপেজেই যাত্রী উঠা-নামা করতে কাজ করছেন।
শিক্ষার্থীরা গোলচক্করগুলোতে বাঁয়ের গাড়ি বাঁয়ে ও ডানের গাড়ি ডানে চলাচল নিশ্চিতের পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও রিকশার জন্য আলাদা লেন করেছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এতো দ্রুত পুরো সিস্টেমটাকে তারা পরিবর্তন করে ফেলেছেন। যাত্রী ও সাধারণ মানুষও তাদের কথামতো সড়ক আইন মেনে চলছেন। এতে করে সড়কের চিত্র ইউরোপ, আমেরিকার মতোই বদলে গেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এমনটাই বলেছেন শিপলু শেখ নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘মিরপুরে ছাত্রদের এতো চমৎকার ট্রাফিক কন্ট্রোল দেখে আমি মুগ্ধ, বিমোহিত। তারা শুধু মূল সড়কই নয়, ছোট ছোট শাখা সড়ক, হাসপাতালের সামনে (যেগুলো জ্যাম তৈরি করতে পারে) অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া জেব্রা ক্রসিং মেইনটেইন, বড় সড়কে লেন মেইনটেইন ও উল্টোপথে রিকশা চলাচল বন্ধ করেছেন। কী দুর্দান্ত! মিরপুরের বর্তমান সড়ক দেখে যে কেউ ভাবতে পারে এটা ইউরোপের কোনো সড়ক ব্যবস্থা।’
তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আরেক যাত্রী সাজিদ বলেন, ‘আগে যেখানে সেখানে গাড়ি থামতো। এতে যানজট লেগে যেত। মানুষ সড়কের মধ্যেই হেঁটে বেড়াত। বিগত ৫/৬ দিন মানুষ যেভাবে জেব্রা ক্রসিং ও ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করছেন তা অকল্পনীয়। আমাদের এতো বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর রাজধানীতেও এটা যে সম্ভব হয়েছে তা ভাবতেই অবাক লাগছে। এ যেন ইউরোপ-আমেরিকার মতোই সড়ক ব্যবস্থা। যা আবার মানছেও সাধারণ মানুষ।’
এ সময় কথা হয় ট্রাফিক কন্ট্রোল করা এক শিক্ষার্থী আশিক রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেছে। অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে আমরাই সাজাবো।’
আরেক শিক্ষার্থী ইকবাল বলেন, ‘সড়কে এতদিন নানান অসংগতি থাকলেও এখন আর সেগুলো করতে দেয়া হবে না। কেউ উল্টোপথ দিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা চালাতে পারবে না। অবশ্যই মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট পরতে হবে। তরুণদের মধ্যে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে; তারা যেকোনো ধরনের বৈষম্য এবং দুর্নীতি রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।’
সানিয়া আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ। সবাই মিলেই সেটি গড়তে হবে। দেশ যেমন বদলে গেছে, আমাদেরও বদলাতে হবে।’
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধানমন্ডি, কলাবাগান, মিরপুর রোড, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকায় যান চলাচল বেশি দেখা গেছে। বাসের সংখ্যা অন্য সময়ের মতো না হলেও, শনিবারের চেয়ে রোববার বেশি। অন্য সড়কগুলোতেও ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
দেয়ালে দেয়ালে শিল্পকর্ম আঁকছে শিক্ষার্থীরা
আগুনে পুড়ে যাওয়া দেয়ালে ও আন্দোলন চলার সময়ে যেসব অশোভন ও রাজনৈতিক স্লোগান লেখা হয়েছিল সড়কের বিভিন্ন স্থাপনায়, তা মুছে নতুন করে শিল্পকর্ম ও স্লোগান লিখছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সাদা রঙ দিয়ে আগের লেখা মুছে নতুন করে দেয়ালে ও স্থাপনায় দেশ সংস্কারের স্লোগান লিখছেন। আঁকছেন বিভিন্ন অভিনব শিল্পকর্ম। শিক্ষামূলক এসব শিল্পকর্ম ও স্লোগান সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করছে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্করের পিলারে ও দেয়ালে শিল্পকর্ম আঁকার ফাঁকে কথা হয় আরমান আলম নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় এলোমেলোভাবে লেখা অনেক অশোভন ও রাজনৈতিক স্লোগান আমরা সাদা রঙ দিয়ে মুছে দিয়েছি। স্বাধীন দেশে তা দেখতে ভালো দেখাচ্ছিল না। আবার সাদা দেয়ালটাও দেখতে ভালো দেখাবে না বলে আমরা সেখানে বিভিন্ন শিল্পকর্ম আঁকছি। লিখছি দেশ সংস্কারের অভিনব সব স্লোগান।’
কথা হয় আরেক শিক্ষার্থী উম্মে হানির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দেয়ালগুলো আমরা রঙিন করে সাজাতে চাই। দেশের বিরত্বগাঁথা দিয়ে ভরে ফেলতে চাই। আমাদের শহরটাকে আমরা আমাদের মতো করেই সাজাবো।’
এদিকে মিরপুর ১৪ নম্বর রোডের সড়কে দেখা যায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে নানা স্লোগান লিখছেন। তারা রং নিয়ে ব্রাশের মাধ্যমে রঙিন করছেন সড়ক। স্থানীয় লোকজনও তাদের সাহায্য করছে।
শুধু মেট্রোরেলের পিলার নয়, রোড ডিভাইডারেও শিক্ষার্থীরা আঁকছেন দেশ সংস্কারের এমন সব গ্রাফিতি। বিভিন্ন স্লোগান লিখে তারা এসব শিল্পকর্ম আঁকছেন। এতে নতুন রূপে সেজেছে মিরপুর এলাকা। যা চলতি পথে যাত্রীদের দিচ্ছে স্নিগ্ধতা ও সচেতনতার শৈল্পিক বার্তা।
কথা হয় মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা রং-তুলিতে এসব পিলারে আঁকাআঁকি করছি। বেশ ভালো লাগছে। শুরুতে আমরা আন্দোলন চলাকালে নানা উত্তপ্ত স্লোগান এলোমেলোভাবে লিখেছিলাম। সেসব সাদা রং দিয়ে মুছে আমরা এবার দেশাত্মবোধক নানা স্লোগানসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম আঁকছি। দেশ সংস্কারের কথা লিখছি। দেশকে ভালোবাসার কথা, দেশের আইন মানার কথা লিখছি। যাতে মানুষ এসব দেখে কিছুটা হলেও নিজেকে পরিবর্তন করে। এটাই আমাদের চাওয়া।’
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনালের (বিইউপি) শিক্ষার্থী হাসিব আরমান বলেন, ‘আমরা আসলে এক একজন এক একটা কাজ করছি। কেউ ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজ করছি। কেউ দেয়াল লিখনের কাজ করছি। কেউ পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। পালা বদল করেও দায়িত্ব পালন করছি। এটা যে কী পরম শান্তি, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। অনেকেই আমাদের পানি, বিস্কুট, খাবার দিচ্ছে। এতে আরো বেশি অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।’
এ সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা মিল্টন বলেন, ‘ছাত্ররা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এতদিন আমরা যা করতে পারিনি তারা তা করে দেখিয়েছে। এখন তারা দেশ সংস্কারে কাজ করছে। এই যে সড়কে এমন চমৎকার কাজ করা যায় তা কখনও ভাবিনি। তারা দেশ নিয়ে নানা অভিনব স্লোগান লিখছেন রাস্তায়। এসব স্লোগান অনেক অর্থ বহন করে। আমাদের এসব কথার অর্থ বুঝতে হবে। ওদের সাহায্য করতে হবে।’
নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতার কাজেও শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীরা রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন, সড়কের আবর্জনা সরিয়ে ফেলছেন। যেসব স্থাপনা, থানা ও ফাঁড়িতে আগুন দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব জায়গায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
বেশ কয়েকটি থানা, ফাঁড়ি ও সড়কের মোড়ে অবস্থিত পুলিশ বক্সের ধ্বংসস্তূপ সরছে একটু একটু করে। শিক্ষার্থীরাই দায়িত্ব নিয়েছেন ধ্বংসের ক্ষত সারানোর। তাদেরই উদ্যোগে চলছে ধোয়ামোছার কাজ। পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, জঞ্জাল সাফ করা আর গাছ লাগানোও চলছে। সব মিলিয়ে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। তবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন মুছে ফেলতে সময় লাগবে। এখনও বাতাসে ভাসছে পোড়া গন্ধ।
সরেজমিনে মিরপুর মডেল থানায় গিয়ে দেখা যায়, ফটকের আগে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন বেশ কয়েকজন আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থী। তারা থানার ভেতরে কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছেন না।
এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যের সঙ্গে পুলিশের যোগদান বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, পুলিশ সদস্যদের যোগদান করার কথা থাকলেও তারা এখনো যোগদান করেননি। তারা না আসা পর্যন্ত থানার নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কাউকে থানার ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছি না। পুলিশ সদস্যরা আসলে আমরা তাদের হাতে থানার সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে সরে যাবো।
তবে মিরপুর মডেল থানার বর্তমান যে চিত্র দেখা গেছে, এতে থানায় পুলিশ সদস্যরা আসলেও কাজ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। পুরো ধ্বংসস্তূপ মিরপুর মডেল থানা। দোতলাবিশিষ্ট থানাটির উভয় তলা পুড়ে গেছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও থানার সামনে থাকা কয়েকটি গাড়ি। সেই ধ্বংসস্তূপ পাহারা দিচ্ছেন আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ আগস্ট) কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে গেছেন। রাস্তায়ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীরাই সড়কসহ রাজধানীর সব দায়িত্ব নিজেদেরই কাঁধে নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।