জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়েই পরিচয় হয় নোয়াখালীর মেহেদী হাসান সীমান্ত ও সুমাইয়া বিনতে নুরুল হকের। সেখান থেকে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব, ভালো লাগা, আর শেষমেশ সেই সম্পর্ক গড়ায় বিবাহবন্ধনে।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই, দুপুরে আন্দোলনের প্রায় এক বছর পর তাদের প্রেম পূর্ণতা পায়—মেহেদী ও সুমাইয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
সীমান্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে, সুমাইয়া নোয়াখালী সদর উপজেলার বাঁধেরহাটের গোরাপুর ফাজিল মাদ্রাসায় ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ছেন।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রথমবার সীমান্ত ও সুমাইয়ার কথা হয়। একসাথে আন্দোলনে যুক্ত থাকার সূত্রে একে অপরের প্রতি ভালো লাগা জন্ম নেয়, যা পরে প্রেমে রূপ নেয়। উভয় পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা সম্মতি দেয়, আর সেই সম্পর্কই পায় সামাজিক স্বীকৃতি।
সুমাইয়া বলেন, “আন্দোলনের সময় সীমান্তের স্লোগান, সাহস আর সততা আমাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। তার প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রূপ নেয়।”
সীমান্ত বলেন, “সুমাইয়ার সঙ্গে প্রথমে আন্দোলনের সূত্রেই কথা শুরু। তখন প্রেম ছিল না। ৫ আগস্ট তাকে আমার মনের কথা জানাই। সে বিষয়টি পরিবারকে জানানোর পর আমরা উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।”
সুমাইয়ার বড় ভাই মো. নুর হোসেন বলেন, “আমি নিজেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সীমান্ত আন্দোলনের সামনের সারির যোদ্ধা ছিল। তার স্লোগানে আমাদের সাহস আরও বেড়েছে। সীমান্ত ও সুমাইয়ার সম্পর্ককে আমরা পরিবার থেকেই এগিয়ে নিয়েছি। তাদের জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।