জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও জোর করে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ হয়। এতে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ৮ থেকে ১০ জন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ব্যানার টানিয়ে অনুষ্ঠান করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মামুন। তিনি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন মামুন।
আহত ওই শিক্ষার্থীর এক সহপাঠী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কলেজের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। তবুও ছাত্রদল জোর করে রাজনৈতিক কর্মসূচি করে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে বাধা দিলে তারা গুলি করে। তবে ছাত্রদলের কেউ সংঘর্ষে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে সংগঠনটির নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এরপরও কোনো ধরনের অনুমতি ব্যতীত ছাত্রদলের ব্যানারে অনুষ্ঠান শুরু করে ছাত্রদল নেতারা। সেখানে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরও করে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে ওমর গনি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. তারেক আজিজ বলেন, আজকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল থেকে প্রতিনিধি দল আসে। আমরা প্রোগ্রাম শেষ করে যাওয়ার সময় কিছু নামধারী ছাত্র নিজেদের মধ্যে হট্টগোল করে। সেখানে প্রশাসনের লোকজন ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজের গত ৪৫ বছর ছাত্রলীগ ছাড়া কেউ ছিল না। ছাত্রলীগের বাচ্চু, ওয়াসিমদের সঙ্গে রাজনীতি করে এখন সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে কলেজে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাচ্ছে। আমরা সেটি হতে দেবো না।
চট্টগ্রাম নগর পলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) তারেক আজিজ বলেন, কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে নিয়ে ছাত্রদলের সদস্যরা কলেজে সাংগঠনিক কাজে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়। এসময় কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারিতে দুইজন সামান্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।