জুমবাংলা ডেস্ক : স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে বাইরের সিঁড়িতে জুতা খুলে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পাঠগ্রহণ করতে হয়। স্কুলের ভেতরে চলাফেরা, এমনকি টয়লেটেও যেতে হয় খালি পায়ে। অন্যদিকে স্কুলজুড়ে শিক্ষকরা জুতা পরেই চলাফেরা করেন।
জুতা পরার ‘নিয়মে’ এমন ভিন্নতা দেখা যায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের কার্তিকাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্কুলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ভিন্ন নিয়ম চালু করেছেন প্রধান শিক্ষক রেজাউন নবী, যেটি চলছে এক বছর ধরে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউন নবী জানান, শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার জন্যই এমন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
রেজাউন নবী বলেন, ‘শিশুরা পায়ে জুতা পরে শ্রেণিকক্ষে এলে কক্ষগুলো নোংরা হয়। বিদ্যালয় অপরিষ্কার হলে তা পরিষ্কার করা খুবই কঠিন। এ ছাড়াও বাচ্চাদের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করতে এই নিয়ম করেছি।’
জামাল হোসেন ও কাজল হোসেন নামের দুই অভিভাবক জানান, স্কুলে এমন নিয়ম খুবই দুঃখজনক। প্রধান শিক্ষককে বেশ কয়েকবার বলার পরও তিনি শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ করেই যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থী আর শিক্ষকদের জন্য আলাদা নিয়ম কেন এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউন নবী জানান, শিক্ষকরা যেহেতু বড়, তাই তাদের জন্য নিয়ম আলাদা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ মো. সিদ্দিক রেজা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘একই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে চলাফেরা করবে আর শিক্ষকরা জুতা পায়ে চলবে, এমন হতে পারে না। বিষয়টি খুবই খারাপ দেখায়। আমি দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।