জুমবাংলা ডেস্ক : পিছিয়ে পড়া অবহেলিত ১৬ হাজার কিশোরীর মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া পিছিয়ে পড়া ছাত্রীরা পাবে এসব মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প বাইসাইকেল। প্রতিটি সাইকেলের মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে (রাজবাড়ী, খাগড়াছড়ি, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, ঝিনাইদহ ও বরগুনা) এই বাইসাইকেল দেযা হবে। কিশোরী ক্ষমতায়নে স্কুলগামী ছাত্রীদের বাইসাইকেল প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৫ কোটি টাকা। চলতি সময় থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করেছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা কমিশনও প্রকল্পের ওপর ইতিবাচক মতামত দিয়েছে।
প্রকল্প প্রসঙ্গে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলে, ‘কিশোরী ক্ষমতায়নে স্কুলগামী ছাত্রীদের বাইসাইকেল প্রদান’ প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো আমর পিইসি সভাও হয়েছে। আমর করেছি। প্রাথমিকভাবে ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে সাইকেল দেওয়া হবে। এটা এক ধরনের পাইলট প্রকল্প প্রকল্পের সুফল মিঙ্গলে দেশব্যাপী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, স্কুলগামী ছাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, কিশোরী ক্ষমতায়ন, সহজ ও নির্ভয়ে পথচলা। নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রবেশের পথ সুগম করা, কিশোরীদের নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশে সহায়তা করবে এ প্রকল্প।
বাইসাইকেল দেওয়ার মাধ্যমে আট বিভাগের আট জেলার ৪৮টি উপজেলার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে সহায়তার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং ১৬ হাজার স্কুলগামী দরিদ্র, মেধাবী
ছাত্রীর স্কুলে যাতায়াত নিরাপদ ও সহজ করা হবে স্কুলগামী ছাত্রীদের ঝরে পড়া রোধ করার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা কর্যক্রম অব্যাহত রাখা, আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা বাড়িয়ে নেতৃত্বের মনোভাব সৃষ্টি এবং কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কিশোরীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে এ প্রকল্প। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্প মেয়াদে প্রতি উপজেলায় ৩৩৩টি বাইসাইকেল দেওয়া হবে। প্রতিবছর প্রতি উপজেলার প্রত্যন্ত তিনটি স্কুলে ৩৭টি করে মোট ১১১টি বাইসাইকেল দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তবে খাগড়াছড়ি জেলার আট উপজেলায় ১৬টি অতিরিক্ত বাইসাইকেল দেওয়া হবে।
নানা কারণে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। অধিদপ্তর জানায়, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মোট গুলসংখ্যার বৃহত্তর অংশের কল্যাণে কাজ করছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নারীদের উন্নয়নে মূল সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। সরকার জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ ও সার্বিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর একমাত্র সংস্থ্য যার সব সুবিধাভোগী এবং অংশগ্রহণকারী নারী। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতনের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদে আইনের মাধ্যমে নারী পুনর্বাসন বোর্ডকে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।