বিনোদন ডেস্ক : অভিনয় নিয়ে কোনো স্বপ্নই ছিল না তাঁর। সেই অভিনয়েই নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে বারবার আসছে টোল পরা গালে হাসি ছড়ানো মেয়েটির নাম। হ্যাঁ, বলছি অভিনেত্রী ও মডেল কেয়া পায়েলের কথা। এ সময়ের জনপ্রিয় সব অভিনেতার বিপরীতে অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। তাঁর অনবদ্য অভিনয়ে দর্শক মুগ্ধ। এই মুগ্ধতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন গেল ঈদেও।
কেয়া পায়েলের ফেসবুকে ঢুঁ মারলেই এখন চোখে পড়ে ঈদ নাটকের কিছু ছবি-ভিডিও; যা তাঁকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসাচ্ছে। রাকেশ বসুর ‘ডানপিটে’, মহিদুল মহিমের ‘কপি পেস্ট’, জাকারিয়া সৌখিনের ‘গুডবয়’, অনন্য ইমনের ‘দূর থেকে দূরে’, ‘উড়াল পাখি’, রাফাত মজুমদার রিকুর ‘কাটুস কুটুস কুরবানী’, ‘বন্ধন’, মাহমুদুর রহমান হিমির ‘পথে হলো দেখা’, মেহেদি হাসান হৃদয়ের ‘নিউলি ম্যারিড’, এস আর মজুমদারের ‘হৃদয় আকাশে’ নাটকগুলো আলোচিত হয়েছে। ভিউয়ের দৌড়ে সমসাময়িকদের তুলনায় এগিয়ে আছেন কেয়া।
কেয়া পায়েল বলেন, ‘দর্শকের ভালো লাগা মন্দ লাগার বিষয় মাথায় রেখেই কাজ করি। তারা আমার অভিনীত নাটকগুলো পছন্দ করেছেন; তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। নানা ধরনের গল্প নিয়ে ঈদের নাটকগুলো নির্মিত হয়েছে, যে নাটকগুলোতে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখেছেন। গতানুগতিক কাজ এড়িয়ে চলি বলে সব সময় আমার অভিনীত নাটক-টেলিছবি দর্শকের কাছে পছন্দের হয়।’
ছোট পর্দায় আপনার ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। একই সময়ে এত নাটক, টেলিছবির চরিত্র আত্মস্থ করা কঠিন মনে হয় না– এমন প্রশ্নে তাঁর ভাষ্য, ‘একই সময়ের একাধিক চরিত্র আত্মস্থ করে একের পর এক নাটক করে যাওয়া খুবই কঠিন। তাই অভিনয়ের আগে যতটা পারি চরিত্র নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি। কেমন হতে পারে তাদের স্বভাব, চলাফেরা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি– তা নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করি। যেসব চরিত্রে অভিনয় করেছি, তার সবই চোখে দেখা এমন নয়; সবকিছু সম্ভব হয়েছে সহশিল্পী আর পরিচালকদের সহযোগিতায়।
টিমওয়ার্ক ভালো হলে কাজ এমনিতেই ভালো হয়।’ নিজেকে সব সময় হাসিখুশি রাখেন কেয়া পায়েল। এ হাসিখুশি থাকার মন্ত্র কী– মুখে এক চিলতে হাসি নিয়েই উত্তরটা দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমি সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি। অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা থাকে সব সময়। যদি মন থেকে ভালো থাকা যায়, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও কোনো সমস্যা হয় না। এই ভালো থাকার মধ্যেই আমি তৃপ্তি খুঁজে পাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।