জুমবাংলা ডেস্ক : অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত মাটি এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা শাহরিয়ার লিয়ন বাণিজ্যিকভাবে এ সবজিটির চাষা করছেন।
তার জমিতে প্রচুর পরিমাণ ফল-ফুল আসায় সে আশাবাদী ভাল লাভবান হবেন। মেহেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের চাষাবাদ।
মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা শিক্ষিত যুবক শাহরিয়ার লিয়ন নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন ও বাজারজাত করার লক্ষ্যে গড়ে তোলেন “মাথাল ” নামে একটি কৃষি প্রকল্প।
এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সবজি ও ফল আবাদের পাশাপাশি এবার পরীক্ষামুলক তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সবুজ ক্যাপসিকাম। বর্তমানে তার জমিতে প্রচুর পরিমানে ফুল-ফল এসছে।
সে অনলাইনে ইতোমধ্যে ১৫০ টাকা কেজি দরে কিছু বিক্রিও করেছেন। তিনি আশাবাদি যদি এই দামটা থাকে তবে এখান থেকে ৮-৯ লাখ টাকা ঘরে উঠবে। তিন বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম আবাদ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। অনেক চাষী আগামীতে এই চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ক্যাপসিকাম চাষ এলাকায় নতুন এবং অপ্রচলিত হওয়ায় অনেক চাষীর নজর কেড়েছে।
ক্যাপসিক্যাম চাষি শাহরিয়ার লিয়ন জানান, ক্যাপসিকাম সারাবিশ্বেই একটি জনপ্রিয় ও মূল্যবান সবজি। এটাকে আমাদের দেশে মিষ্টি মরিচও বলা হয়। বাংলাদেশেও ক্যাপসিকামের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ক্যাপসিকামের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। স্থানীয়ভাবে বাজার সৃষ্টি হলে অনেক চাষী ক্যাপসিকাম চাষ করে লাভবান হতে পারেতো। তিনি আরো জানান, স্থানীয়ভাবে এ সবজির জোগান না থাকায় রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জেলায় এটি সরবরাহ করতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন যে সবজিগুলো মানুষের প্রতিদিন খাওয়া উচিত, ক্যাপসিকাম তার মধ্যে অন্যতম। এটি শরীরের নানা চাহিদা পূরণ করে, পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কোনো অসুখ থেকে উপশম পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবেও দিন দিন ক্যাপসিকামের কদর বাড়ছে। সবুজ-লাল-হলুদ বাহারি রঙের ক্যাপসিকাম কেবল খাবারের স্বাদ ও সৌন্দর্যই বাড়ায় না, এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
ক্যাপসিকাম চাষাবাদের বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, প্রতি বিঘায় ক্যাপসিকামের ফলন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি পর্যন্ত হতে পারে। আর লাল ও হলুদ রঙের ক্যাপসিকাম কেজি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সবুজ ক্যাপসিকাম প্রতি কেজির বাজার মূল্য ১৫০ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার জানায়, ক্যাপসিকাম চাষাবাদের জন্য মেহেরপুরের মাটি অত্যন্ত উপযোগী। আমাদের দেশে ক্যাপসিকাম খাওয়ার প্রচলন বেশি না থাকলেও ক্রমেই এর কদর বাড়ছে। দেশের অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : যায়যায়দিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।