জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা মেঘাদল গ্রামের চাষি জালাল মিয়া।বর্তমানে তার বাগানে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে সুমিষ্ট আঙুরের ছড়া।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চারা লাগানোর ১৪মাস পর ২০২৪ সালে এপ্রিল মাস থেকে বাগানে ফল আসে এবং এখনও ফল আসা অব্যাহত রয়েছে। সফলতার হাতছানি পাওয়ায় নতুন করে বৃহৎ পরিসরে বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছেন জালাল মিয়া।
এদিকে জালাল মিয়ার আঙুরের বাগান দেখে আশেপাশের অনেক কৃষকই আগ্রহী হচ্ছেন। আগ্রহীদের মধ্যে কয়েকজন তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে লাগিয়েছেন।
উদ্যোক্তা জালাল মিয়া জানান, ভারতে বেড়াতে গিয়ে শখের বসে প্রথমে দুই জাতের গড়ে ১২শ টাকা দরে ১০টি আঙুর ফলের চারা নিয়ে আসেন। এরপর আরও দুই ধাপে ৪০টি জাতের ৮০টি চারা নিয়ে নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন। এতে সব কিছু মিলিয়ে তার খরচ হয় ১লাখ ২০ হাজার টাকা। এরপর বাগানে আসতে থাকে সুমিষ্ট ফল। যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তাতে বাগান থেকেই সব খরচ উঠে লাভ হবে দুই লাখ টাকার উপরে। এছাড়া তিনি নিজেই এখন উৎপাদন শুরু করেছেন আঙুরের চারা।
মেঘাদল গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘আমগরে এই জায়গায় জালাল মিয়ার উদ্যোগে একটা আঙুরের সুন্দর বাগান হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় অনেক পোলাপান বেকার হয়ে বসে আছে। তারা এই বাগানটা দেখে যদি আঙুরের বাগান করতে পারে তাহলে অনেক লাভবান হবে।’
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, আঙুর একটি উচ্চ মূল্যের ফসল। বিদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ আঙুর আমদানি করতে হয়। আমরা যদি আমাদের দেশে আঙুর চাষ সম্প্রসারণ শুরু করতে পারি তাহলে আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। অন্যকোনো কৃষি উদ্যোক্তা যদি আঙুর চাষে আগ্রহী হন, তাহলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।