জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রথমবারের মতো ব্রকলি চাষে সফল হয়েছে কৃষক কালাম মোড়ল। তার ক্ষেতজুড়েই সবুজ সমাহার। এ অঞ্চলে নতুন ফসল উদ্ভাবন করায় হাসি ফুটেছে ওই কৃষকের মুখে। সঠিক পরিচর্যা ও রোগ বালাই না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার। উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে এই কৃষক তার ৫০ শতক জমিতে ব্রকলি চাষ করে। এতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। তবে ব্রকলি চাষ লাভজনক। সময় মতো ক্ষেতের ফসল বাজারে বিক্রি করতে পারলে কৃষকরা লাভবান হবে এমটাই জানিয়েছেন ব্রকলি চাষি। এর মধ্যে অনেক কৃষক তার সফলতা দেখে ইতিমধ্যে এ নতুন ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রকলি আকার আয়তন ও দেখতে ফুলকপির মত হলেও পাতা ও ফুলগুলো গাঢ় সবুজ। আর চাষের পদ্ধতি বাধা বা ফুলকপির মতোই। লবনাক্ত জমিতে ব্রকলি চাষ করা যায় এমন ধারনাই ছিলোনা এ অঞ্চলের কৃষকদের। তবে এ এলাকায় ব্রকলি তেমন চাহিদা না থাকলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত উপকারি এমন কথা বলেছেন অনেকেই।
সফল চাষি কালাম জানান, তাকে অনেকেই বলেছেন লবনাক্ত জমিতে ব্রকলি হবেনা। তাদের কথা উড়িয়ে দিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রকলি চাষ করেছেন। এতে তেমন খরচও হয়নি। কৃষি অফিস থেকে প্রথমে বারবারা জাতের বীচ সংগ্রহ করে তা বপন করলে এ থেকে খুব সুন্দর ভাবেই অংঙ্কর হয়। এর পর মাছের ঘেরের পাড়ে প্রায় ২ হাজার চারা রোপন করেন। ভালো ফলন হবে তা তিনি আশা করেননি।
তার সফলতা দেখে একই গ্রামের কৃষক সালাম মিয়া জানান, কল্পনাও করিনি লবনাক্ত জমিতে ব্রকলি চাষ করা যায়। প্রথম বারের মতো কালামের ক্ষেতে ব্রকলির ফলন ভালোই হয়েছে। অপর এক কৃষক শাহিন মিয়া জানান, এবছর তরমুজ চাষ করেছি। আগামীতে আমিও ব্রকলির চাষ করবো।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কৃষি অফিসের সহায়তায় ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কালাম মোড়ল। তার দেখাদেখি আরও কোন কৃষক ব্রকলি চাষে আগ্রহী হলে তাদেরকে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং পরামর্শ দেয়া হবে। আশা করছি এ উপজেলায় ব্রকলি চাষের ব্যাপক সস্প্রসারণ ঘটবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।