জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিনা চাষে আলু উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। এসিআইএআর-এর অর্থায়নে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পটুয়াখালী শাখার উদ্যোগে উপজেলার রজপাড়া, পাখিমারা, উমেদপুর, কুয়াকাটা এবং বান্দ্রা, আমতলী ও বরগুনায় আধুনিক এ পদ্ধতিতে আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
জানা যায়, আমন ধান কাটার পর কোনো প্রকার জমি চাষ না দিয়ে আলু উৎপাদন একটি লাগসই প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান কাটার পর জমিতে পরিমিত সার দিয়ে নির্দিষ্ট দুরত্বে আলু বীজ বপন করে ধানের খর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে জমিতে মাটির রস সংরক্ষিত হয়, লবনের প্রভাব পড়ে না, উৎপাদন খরচ কম হয় এবং ফসল ভালো হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ২ টন আলুর ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলে আধুনিক এ পদ্ধতির বিস্তার ঘটাতে পারলে অধিকাংশ পতিত জমি আলু চাষের আওতায় আসবে।
রজাপাড়া গ্রামের কৃষক হানিফ ও রমজান বলেন, জমি চাষ করা প্রয়োজন হয় না বলে প্রাথমিকভাবে কিছু জমিতে চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। তারা আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ পদ্ধতি আলু চাষ করবে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ.আর. এম সাইফুল্লাহ বলেন, বিনা চাষে আলু উৎপাদন একটি নতুন পদ্ধতি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এ পদ্ধতিতে আলু চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। তুলনামূলক অনেক কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ পদ্ধতিতে আলু চাষে প্রচুর খড় ও কচুরিপানার প্রয়োজন হয়। আশা করছি, কৃষকদের কাছে ধীরে ধীরে এর চাহিদা আরো বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।