জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রেস্ট ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধী মিষ্টি আলু চাষে সফলতার মুখ দেখছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার তরুণ চাষি লুুৎফুর রহমান। অল্প পরিশ্রম ও স্বল্প ব্যয়ে পাঁচ মাসে দ্বিগুণ মুনাফার আশা করছেন তিনি।
সরেজমিন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সমের্মদান গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বসত বাড়ির কাছেই এক পসলা জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করেছেন তিনি। পুষ্ট-সবুজ আলু গাছে ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ। একটি গাছ উপড়ে দেখা যায়, বড় আকারের আলু ফলেছে চরটি। ওজনে প্রায় কেজি সমতুল্য। আলু ক্ষেতের পাশেই রয়েছে তার পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
এসময় কথা হয় চাষি লুুৎফুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, ধান তোলার পর বছরজুড়ে অলস পড়ে থাকে এক ফসলি ধানি জমি। এসময়টাতে জমি আবাদের চিন্তা থেকেই মিষ্টি আলুর চাষাবাদ করা। আমার ইচ্ছে বাস্তবায়নে পাশে দাঁড়ায় উপজেলা কৃষি অফিস। অফিস থেকে একটি প্রদর্শনীও পাই। বাড়ির কাছের বিশ শতক জমিতে গত বছরের ১১ নভেম্বর, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা জাকারিয়া হাবীরের সার্বিক সহযোগিতায় বারি মিষ্টি আলু-১২ জাতের চার থেকে পাঁচ হাজার চারা রোপণ করি। কৃষি অফিস থেকে সার-বীজ ও সাথে পরিচর্যার জন্য দেয়া হয় কিছু অর্থও। আমি নিজেও বিনিয়োগ করি আর পাঁচ হাজার। ঘর-গৃরস্থালির পাশাপাশি মাঝে মধ্যে দেয়া একটু পরিচর্যাতেই পাঁচ মাসের মাথায় ফলন আসে প্রতিটি গাছে। যে হারে ফলন এসেছে, সে অনুপাতে ১০ মণ আলু তোলার আশা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ব্রেস্ট ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধী এ জাতের মিষ্টি আলু একটি উচ্চমানের পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল। এ বছর বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ হয়েছে। মিষ্টি আলু চাষ করে উপজেলার অনেক পতিত জমি আবাদের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব, সেই সাথে জমিকে তিন ফসলি জমিতেও রূপান্তর করা যায়। কৃষক মো. লুৎফুর রহমান একজন ভালো উদ্যোগী কৃষক। আমি তার সাফল্য কামনা করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।