জুমবাংলা ডেস্ক : মাচা পদ্ধতিতে বারোমসী তরমুজ চাষ হচ্ছে জয়পুরহাটে। বারোমাসী তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। ফলে অনেকেই ঝুঁকছেন বারোমাসী তরমুজ চাষে। এতে শত শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।
জানা যায়, ২০১৭ সালে পাঁচবিবি উপজেলার ভারাহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় আড়াই শতক জমিতে পরীক্ষামূলক এই তরমুজ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রতি বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ফসল উৎপাদন করে বিক্রি করে ২ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।
চাষিরা জনান, বারোমাসী তরমুজ চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে তারা। উৎপাদিত এসব তরমুজ জমির পাশের সড়কেই বিক্রি হয়। বারোমাসী তরমুজ চাষে আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মণ তরমুজ খুচরা ও পাইকারিতে বিক্রি হয়। তাছাড়া সারা বছর জয়পুরহাটে বারোমাসী তরমুজ পাওয়া যায়।
জয়পুরহাট এহেড সোশাল অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক মতিনুর রহমান বলেন, ৩০০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এতে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন। আমাদের সংস্থার কর্মকর্তারা সব সময় চাষিদের সাথে যোগাযোগ করছে এবং নানা ধরণের পরামর্শ দিচ্ছে।
জয়পুরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।