জুমবাংলা ডেস্ক : খাগড়াছড়ির কৃষকরা ঝুঁকছেন ভূট্টা চাষে। দেশের বিভিন্ন তামাকজাত কোম্পানীর প্রলোভনে পড়ে প্রায় ১ দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষতিকারক তামাক চাষ করে আসছেন। কোম্পানি গুলোর প্ররোচনা বুঝতে পেরে তামাক চাষ করা থেকে সরে এসে ভূট্টা চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে বাড়ছে বানিজ্যিকভাবে ভূট্টা চাষ।
পাহাড়ে ফসলের মাঠ গুলোর চিত্র পুরোপুরি পাল্টে গেছে। বানিজ্যিকভাবে ভূট্টা বিক্রির নিশ্চয়তা থাকায় কৃষকরা ভূট্টা চাষে উৎসাহী হচ্ছেন।
কমলছড়ি এলাকার এক চাষি জানান, তামাক চাষে লাভ হলেও শারীরিক ভাবে নানা সমস্যায় ভুগতে হতো। পরিবারের সবাই শারীরিক ভাবে আক্রান্ত হওয়ায় লাভের থেকে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। তাই এখন ভূট্টা চাষ করছি। ফলন বেশি হচ্ছে সাথে দামও ভলো পাচ্ছি।
খাগড়াছড়ির উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দোলন মল্লিক বলেন, খাগড়াছড়িতে এবছর ৫ শত ৩০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছে। ৪ হাজার ৩ শত ৩৫ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জমির উর্বরতা ও ক্ষতি রুখে দিতে চাষিদের তামাক বাদ দিয়ে ভূট্টা চাষে উৎসহিত করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ শফি উদ্দিন বলেন, আমরা চাষিদের কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছি এবং আশা করছি তামাক চাষ ধীরে ধীরে কমে যাবে।
দেশে মিষ্টি আলুর নতুন ৩টি জাত উদ্ভাবন, দ্বিগুণেরও অধিক ফলনের আশা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।