আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে দোহা যাওয়ার পথে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে এক নারীর হঠাৎ মৃত্যুর পর দুই যাত্রীকে এক অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। মাইকেল রিং এবং জেনিফার কলিন নামের এই দম্পতি জানিয়েছেন, মৃত ওই নারীর মরদেহ তাঁদের পাশে বসিয়ে ৪ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে বাধ্য হন তারা। এমনকি বিমানটি অবতরণ করার পরও তাদের ওই মৃতদেহের সঙ্গে বসে থাকতে বলা হয়।
মাইকেল রিং এবং জেনিফার কলিন নামের এ দম্পতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিমানে যাত্রা করার সময় ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তারপর ক্রুরা মরদেহটি বিজনেস ক্লাসে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু দেহটির আকার বড় হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর ক্রুরা এসে বলেন, ‘আপনি কি দয়া করে একটু সরতে পারবেন। আমি বলি হ্যাঁ, সমস্যা নেই।’ এরপর ওই মৃত নারীকে আমি যে আসনে বসা ছিলাম সেটিতে বসিয়ে দেয়। কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ওই মরদেহের সঙ্গে আমি দীর্ঘ চার ঘণ্টা বসে ছিলাম।
মাইকেল রিংবলেন, বিমানটি অবতরণ করার পরও তাদের নিজ আসনে বসে থাকতে বলা হয়, যেন স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে মরদেহটি নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, “চার ঘণ্টা ওই মৃতদেহের সঙ্গে বসে থাকা সত্যিই কষ্টকর ছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, তারা আমাকে আরও বসে থাকতে বলছিল। এটি অবশ্যই সুন্দর ছিল না।”
এদিকে এই দম্পতির এমন অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে কাতার এয়ারওয়েজ। তারা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে এ দম্পতির সঙ্গে তারা কথা বলবে।
এদিকে এই দম্পতির এমন অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে কাতার এয়ারওয়েজ। তারা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে এ দম্পতির সঙ্গে তারা কথা বলবে।
এই দম্পতির মূল যাত্রা ছিল ইতালির ভেনিস শহর। তারা নিজেদের উজ্জীবিত করতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। এরমধ্যে পড়েছেন এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।