বিনোদন ডেস্ক : মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে আজও স্বচ্ছন্দ নন অনেকেই। বলিউডে দীপিকা পাড়ুকোন প্রকাশ্যেই পাঠ পড়িয়েছিলেন ‘ডিপ্রেশন’-এর। কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে তা বলতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেছেন তিনি। এবার ছোট থেকে লালন করে আসা এক অসুখ নিয়ে অকপট অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। পডকাস্টে জানালেন, কীভাবে ওই রোগের কারণে মৃত্যুচিন্তাও ভর করেছিল তাঁকে।
রোগের নাম ‘রিকারেন্ট ডিপ্রেশন’। এটি মানসিক অবসাদের একটি প্রকার। একই সময়ে বিভিন্ন কারণে অবসাদ দেখা দেয় এই ক্ষেত্রে। মন খারাপ, মাথা ব্যথা, ঘুমের প্যাটার্নের পরিবর্তন, অপরাধবোধ, স্মৃতিভ্রম এই রোগের লক্ষণ। পরিবারে মানসিক অবসাদের ইতিহাস থাকলে এই রোগ দেখা দিতে পারে। মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়তে পারে। এই ভয়াবহ রোগেই আক্রান্ত ঋতাভরী।
শ্রীর পডকাস্টে এসে তিনি বলেন, “আমার চিকিৎসক মনরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দেব আমাকে দেখে, আমার সঙ্গে কথা বলে বুঝে আমার মা কে বললেন ওঁর একটা অসুখ আছে, সেটার নাম ‘রেকারিং ডিপ্রেশন’, এটা জিনগত। এখানে ওঁর কিছু করার নেই। ও পরিবারের কারও থেকেই জিনগত ভাবে পেয়েছে। এই অসুখ কোনওদিন যায় না।” চিকিৎসকরা ঋতাভরীকে এও জানিয়ে দেন যদি ওষুধ এড়াতে হয় তবে মনকে খুশি রাখতে হবে। খুব কম বয়স থেকেই যোগা-ধ্যানের মাধ্যমে সেই পদ্ধতি শুরু করে দিয়েছিলেন ঋতাভরী। উপকারও পাচ্ছিলেন। তখন তিনি স্কুলে।
এমন এক সময়েই তাঁর কাছে আসে ‘ওগো বধু সুন্দরী’র অফার। সব ভালই চলছিল। তবে হঠাৎ একদিন ঘটে যায় এক ঘটনা। ঋতাভরীর কথায়, “তখন আমি ক্লাস ১২-এ পড়ি। একদিন হলুদ ট্যাক্সি করে বাড়ি ফিরছিলাম। সেদিন বাড়ির গাড়ি আসেনি। এখনও মনে আছে, বাইপাসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। যেখানে ডান দিকে ভেড়িটা আছে, ওখানে গিয়ে আমার কেমন যেন মনে হচ্ছিল আমি গাড়ির হাতলটা টানি, টেনে ঝাঁপ দিয়ে দিই।’ সেদিন নিজেকে সামলেছিলেন নিজেই। নয়তো ঘটতে পারত ভয়ঙ্কর কিছু। আজও সেই কথা ভোলেননি তিনি। তবে সেই রোগ এখন আগের থেকে অনেক নিয়ন্ত্রণে তাঁর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।