সংবিধান সংস্কার ও ক্ষমতার
ভারসাম্যের প্রশ্নে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন । তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি হলে উচ্চকক্ষ চাই না—এমন কথা যারা বলেন, তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছেন।’শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান কেবল ক্ষমতা বদলের জন্য হয়নি। আমরা অংশ নিয়েছিলাম নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে। শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়, মৌলিক সংস্কারও প্রয়োজন।’
সমাবেশে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধান রেখে বাংলাদেশপন্থী বাংলাদেশ সম্ভব নয়। সংখ্যালঘু ও নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৪৭-এর উপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।’
সরকারবিরোধী বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, ‘মুজিববাদী শক্তির ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সক্রিয়। ভারতপন্থী শক্তিগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই বাংলাদেশে কেবল বাংলাদেশপন্থীদেরই জায়গা হবে।’
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকারের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘এই বাংলাদেশে খুনি হাসিনার বিচারের রায় আমরা চাই, এবং তা কার্যকর দেখতে চাই।’
দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সারজিস বলেন, ‘আমরা অন্ধভাবে কারও দালালি করব না। চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট বা দখলদারি হলে তা মুখের ওপর বলে দেব। তবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।