বিনোদন ডেস্ক : ‘রামসে হান্ট সিন্ড্রোম’ নামক বিরল রোগে আক্রান্ত জাস্টিন বিবার, এ নিয়ে ভক্তদের উদ্বেগের শেষ নেই। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগম্যাধমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তার মুখের একপাশ পুরোপুরি অবশ হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট।
এরইমধ্যে অনেকে যখন বিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, ঠিক তখনই ‘রামসে হান্ট সিন্ড্রোম’ নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী ঐশ্বর্য সাখুজা। ২০১৪ সালে তিনিও একই রোগের শিকার হয়েছিলেন বলে জানান। ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ঐশ্বর্য অভিনীত ‘ম্যায় না ভুলুঙ্গি (২০১৪)’ ধারাবাহিকের শ্যুটিং করার সময়ই তিনি সাময়িকভাবে মুখে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি বিয়ের সিক্যুয়েন্সের সময় আমরা পেছনের দিকে শ্যুটিং করছিলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি এ ঘটনার আগের রাতে মাঝরাত পর্যন্ত শিফট করেছিলাম, পরের দিন সকালে যখন আমি দাঁত ব্রাশ করতে গেলাম, তখন মুখ ধোয়ার সময় মুখে আর জল ধরে রাখতে পারছিলাম না, আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল তখন। আমি তখন ভেবেছিলাম হয়তো, অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে এমনটি হচ্ছে।’
সেসময় ঐশ্বর্যের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকা অভিনেত্রী পূজা শর্মাই প্রথম লক্ষ্য করেছিলেন যে, ঐশ্বর্যর মুখে কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এরপর তারা অবিলম্বে একজন ডাক্তারের কাছে যান এবং জানতে পারেন, আসলে ঐশ্বর্য ‘রামসে হান্ট সিনড্রোমে’ ভুগছেন, তার অজান্তেই এই রোগ এশ্বর্যের শরীরের বাসা বেঁধেছে।
সেসময় এ বিরল রোগের সঙ্গে লড়াই করেই অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য সাখুজা। কারণ নির্মাতাদের কাছে সেই মুহূর্তে কোনও ব্যাঙ্ক এপিসোড ছিল না। তবে তাকে তার কাস্ট এবং অন্য সদস্যরা খুব সাহায্য করেছিল বলে জানান তিনি। শুধু তাই নয়, তারা এমনভাবে শ্যুটিং করার চেষ্টা করেছিলেন যে, অভিনেত্রীর মুখের যাতে অর্ধেকাংশ না দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।