জুমবাংলা ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম শব্দে দীর্ঘতম অনুভূতির নাম ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক গভীর এবং অবিচ্ছেদ্য। তাই হয়তো ‘মা তোমাকে ভালোবাসি’ এই কথা সরাসরি কখনো বলা হয়নি।
সুফিয়া আক্তার হক। ১৯৬৭ সালে সপ্তম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় কুমিল্লার মো. শহীদুল হকের সাথে তার বিয়ে হয়। তখন স্বামী খুব কম বেতনে চাকরি করতেন চট্টগ্রামে। এই মহীয়সী নারীর অনুপ্রেরণায় স্বামী ছেড়ে দেন কোম্পানীর চাকরি। যোগ দেন শিক্ষকতার মহান পেশায়। পাশাপাশি করেছেন সাংবাদিকতা। পরিবারে সংকট থাকলেও সুফিয়া আক্তার বাদ দেননি নিজের পড়ালেখা। ১৯৭০ এ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে অধ্যয়ন করেছেন কলেজেও। ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। চালিয়েছেন সেলাই মেশিন। চার ছেলে এবং তিন মেয়েকে মানুষ করে হয়েছেন একজন গর্বিত জননী। পেয়েছেন রত্নগর্ভা মায়ের পুরস্কার।
সংগ্রামী এই মায়ের সাত সন্তানই কৃতিত্বের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন নিয়ে পেশাগত জীবনেও হয়েছেন সুপ্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে মো. নোমানুল হক দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী। দ্বিতীয় সন্তান রায়হানা কলি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নারায়ণগঞ্জের একটি সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান। তৃতীয়সন্তান মো. নাজমুল হক পররাষ্ট্র ক্যাডারে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, ৪র্থ সন্তান মো. নাইমুল হক বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে বর্তমানে ট্যুরিষ্ট পুলিশের ঢাকা রিজিয়নের এসপি, পঞ্চম সন্তান ডাঃ রুমানা কান্তা এখন নিউইয়র্ক সিটির একটি হাসপতালের সরকারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৬ষ্ঠ সন্তান মো. নাদিমুল হক শিক্ষা ক্যাডারের সরকারী তিতুমির কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক এবং সবশেষ সন্তান রোখসানা কনা শিক্ষা ক্যাডারে মাউশির উর্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মাকে আয়রণ লেডি আখ্যা দিয়ে সন্তানরা জানিয়েছেন, মায়ের শক্তি, তাঁর বড় করে তোলা এবং শিক্ষার জন্যই আজ তারা সকলেই প্রতিষ্ঠিত। মা-ই তাঁদের মূল্যবোধ গড়ে তুলেছেন।
শিক্ষার জন্য নিবেদিত প্রাণ এই মহীয়সী নারীর সংগ্রামী জীবন অনুপ্রেরণা হতে পারে লাখো-কোটি মায়ের। রত্নগর্ভা এই মায়ের সুস্বাস্থ্য, কল্যাণ এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।