জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমানে শীত ও গ্রীষ্ম দুই মৌসুমেই আখ চাষ করা হচ্ছে। চাষিরা চাষের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবানও হচ্ছেন। আর কম খরচে মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যেই উৎপাদিত আখ বাজারজাত করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন। আখ চাষে গাজীপুরের চাষিরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আগে শুধু গরমের মৌসুমেই আখের চাষ করা হতো।
গাজীপুর উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নে কম বেশি আখের চাষ হলেও কালীগঞ্জ, বাহাদুরসাদী, জামালপুর, মোক্তারপুর পৌরসভা এলাকায় বেশি চাষ হয়েছে। এখানকার চাষিরা ঈশ্বরদী ১৬ ও ৩৬, টেনাই, বি.এস.আর.আই ৪১ ও ৪২ জাতের আখের বেশি চাষ করছেন। আর কম খরচে উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন। মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যে এর বাজারজাত করা যায়।
চলতি মৌসুমে গাজীপুর উপজেলায় ৬২ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। গত বছর ৩ হাজার ৬১৪ মেট্রিকটন আখের ফলন পাওয়া গেলেও এবছর ৩ হাজার ৭৩৫ মেট্রিকটন আখের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে সব মৌসুমে আখের চাষ করে লাভবান হতে পারায় কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।
বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বাশাইর গ্রামের চাষি আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় বছর চাষের খরচ বেড়েছে। গত বছর ১০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করতে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এবছর আরো বেশি খরচ হয়েছে। আর জমির আখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
আরেক চাষি ইসলাম সরকার বলেন, আখের চাষ করতে আমার বেশি খরচ হয় না। কারণ আমি নিজেই জমিতে সব কাজ করি। এবছর ৯ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। চাষে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পেরেছি। জমিতে আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, উপজেলায় দিন দিন আখ চাষের পরিমান বাড়ছে। কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন। আমরা কৃষকদের আখ চাষের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে চাষে আগ্রহী করা হচ্ছে। এছাড়াও চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ে যেয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আর বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকরা আখের বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।