জুমবাংলা ডেস্ক : আখ চাষে সফল আকালু রায়স্বল্পপুজিতে সাদা রঙ্গের (গ্যাণ্ডারি) আখ চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কৃষক আকালু চন্দ্র রায় (৪৫)। প্রথমবারের মতো আখ চাষ করে লাভবান হওয়ায় হাসি ফুটেছে তার মুখে। তার এই সফলতা দেখে আখ চাষে ঝুকছেন এলাকার অন্যান্য কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বলিহরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর-ফুলবাড়ী-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের পার্শ্বের এক বিঘা জমিতে সাদা রঙ্গের (গ্যাণ্ডারি) আখ চাষ করেছেন কৃষক আকালু চন্দ্র রায়। আখ গুলো সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। সুসিক্ত আখগুলো কাটতে ব্যস্ত আকালুসহ তার পরিবারের লোকজন। এলাকাবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে দেখছে আখ কাটা, আবার কেউ কেউ আখ খাচ্ছেন। আখগুলো টাকা হলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আকালু চন্দ্রের বাড়িতে। সেখান থেকেই বাজারজাত প্রক্রিয়া চলছে।
আখ চাষি কৃষক আকালু চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের উপজেলায় আখের চাষ খুবই কম। অন্য উপজেলায় আখ চাষ দেখে নিজে চাষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বারাইহাট থেকে আখের চারা কিনে একবিঘা জমিতে রোপণ করি। আখের চারা রোপণের ৬/৮ মাস পরে তা বিক্রির উপযোগী হয়। রোপণ থেকে, সেচ, সার মিলে একবিঘাতে মোট ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে নিজে খুচরা বিক্রি করলে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা এবং পাইকার বিক্রি করলে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই আখ ক্ষেতে শুধু পটাশ সার ও মুরগীর বিষ্ঠা ব্যবহার করা হয়েছে। একই সাথে তিন থেকে চারবার সেচ দেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের কাউকে এখন পর্যন্ত আমার জমিতে দেখতে পাইনি। তাদের পরামর্শের জন্য এলাকায় খোঁজ করেও মিলেনি তাদের খোঁজ। আকালু চন্দ্রের বড় শালি তারামনি রানী ও ছেলে বৌ রতœ রানী বলেন, আখ চাষে লাভবান হচ্ছেন আকালু চন্দ্র। ক্ষেতে পরিবারের সকলে মিলে আখ কাটছি। সেই আখ বাড়ি থেকেই বিভিন্ন বাজারে চলে যাচ্ছে।
এলাকার আখ চাষি দিনেশ চন্দ্র রায়, অজিত রায় ও স্বাধীন রায় বলেন, আকালু চন্দ্রের আখ চাষ দেখে আমরাও জমিতে আখ চাষ করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। আমাদের এলাকায় তেমন আখ চাষ না হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরাও বেশ মূল্য পাচ্ছি বাজারে। ইতোমধ্যে আমাদের খরচের টাকার অধিক বিক্রি হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর রহমান বলেন, এবছর ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ও দৌলতপুর ইউনিয়নে মোট ২ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে।
অর্পিতা বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই যেতেন ফ্ল্যাটে, রাতভর চলত মাস্তি
আখ চাষ দিনদিন কমে যাওয়া কারণ কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আখ এক বছর মেয়াদী ফসল। কিন্তু আমাদের জমিগুলো তিন ফসলি। সে কারণে অন্য ফসলে লাভের আশায় আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। যদি এলাকায় কোনো চিনিকল থাকতো তবে আখের চাষ বেশি হতো এবং কৃষকরা লাভবান হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।