জুমবাংলা ডেস্ক : ফুল আর ফলের দেশ আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। বিভিন্ন ঋতুতে অসংখ্য ফলের সমাহার ঘটে। এই অসংখ্য ফলের মধ্যে জাতীয় ফল কাঁঠাল অন্যতম। মধুমাস জ্যৈষ্ঠ মাস শেষের দিকে নওগাঁর পত্নীতলায় গাছে গাছে ম-ম সুবাস ছড়াচ্ছে মিষ্টি গুণ সম্পন্ন রসালো ফল কাঁঠাল।
প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে মগ ডাল পর্যন্ত ঝুলছে কাঁঠাল। বসত-বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে ধরেছে অসংখ্য কাঁঠাল। তবে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল বাগান আগের মতো আর চোখে পড়ে না। তবে বেশি লাভের আশায় স্থানীয়রা বারোমাসীসহ উন্নতজাতের আম চাষে বাণিজ্যিকভাবে ঝুঁকে পড়ছেন। আর আম বাগানের পাশাপাশি সাথী ফসলসহ হাঁসের খামারও করতে দেখা যায় অনেককেই।
এতে করে ৩/৪ গুণ লাভ বেশি পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাকা কাঁঠাল। তবে মৌসুমের শুরুতে দাম একটু বেশি। কাঁঠাল এমন একটি ফল, যার কোনো অংশই নষ্ট হয় না। এর বিচি মানুষের কাছে তরকারি হিসেবেও বেশ পরিচিত।
উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের বামনকুড়ি গ্রামের আতাউর মাস্টার (৬২) বলেন, “এ বছর তাঁর নিজ হাতে রোপিত ১৩ টি কাঁঠাল গাছে প্রায় দেড়’শ পিস কাঁঠাল ধরেছে।” তিনি আরও জানান,“প্রতি বৎসর বাগানের কাঁঠালগুলো কচি অবস্থায় স্থানীয় ভাষায় কান্দা/তরকারি হিসেবে ও পাকা কাঁঠাল প্রতিবেশিসহ আত্মীয়দের বাড়ি ফ্রি বিতরণ করেন এবং নিজেদের খাওয়ার পর অতিরিক্ত কাঁঠাল হাটে বিক্রয় করে থাকেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সদরের নজিপুর পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডের আনোয়ারা চিকিৎসালয়ের জনস্বাস্থ্যবিদ ডা: এম.এ গফুর, এম.পি.এইচ এই বলেন, “কাঁঠালের বিচি প্রোটিন ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। শুঁটকির সাথে এর ভর্তা গ্রাম-বাংলার মানুষের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় ও মুখরোচক। এছাড়া কচি অবস্থায় সবজি হিসেবেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাঁচা-পাকা কাঁঠালের উচ্ছিষ্টাংশ গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।