বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং সম্প্রতি ভারত সরকারের শুল্ক কর্তৃপক্ষের সাথে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় শুল্ক বিভাগের অভিযোগ, স্যামসাং প্রতারণামূলকভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৬০১ মিলিয়ন ডলার দাবি করা হয়েছে। স্যামসাংয়ের শুল্ক ফাঁকি মামলার জেরে ভারতের সাথে স্যামসাংয়ের সম্পর্ক কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা নিয়ে অনেকে চিন্তিত।
Table of Contents
স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি অভিযোগ
২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে স্যামসাং দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে ৪জি নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ আমদানি করেছিল। এই আমদানির মূল্য ধার্য করা হয়েছিল ৭৮৪ মিলিয়ন ডলার। শুল্ক বিভাগের অভিযোগ, স্যামসাং পণ্য তালিকাভুক্তির সময় ভুল শ্রেণীকরণ করে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে, ভারত সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে ৫২০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক এবং ৭ কর্মকর্তার নামে ৮১ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা ধার্য করেছে।
আপিলের পথে স্যামসাং
মুম্বাইয়ের কাস্টমস এক্সাইজ ও সার্ভিস ট্যাক্স অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা ২৮১ পাতার আপিল নথিতে, স্যামসাং দাবি করেছে যে তারা শুল্ক বিভাগের সাথে স্বচ্ছ কাজ করেছে, আর রিলায়েন্স জিওও সেই পণ্য আমদানি করেছিল কোনো শুল্ক ছাড়াই। রিলায়েন্স জিওকে নিয়ে আপিল করার মাধ্যমে স্যামসাং দেখাচ্ছে যে শুধুমাত্র তাদের টার্গেট করা হচ্ছে।
শুল্ক বিভাগ এবং তাদের প্রমাণ
ভারতের শুল্ক তদন্তে দাবি করা হয়েছে যে রিলায়েন্সকে পণ্য শ্রেণীকরণে ভুলের জন্য ২০১৭ সালেই সতর্ক করা হয়েছিল। স্যামসাং এই তথ্য সম্পর্কে অবহিত ছিল না বলে দাবি করেছে। এগুলি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নতুন তথ্য প্রকাশ করে, যা তাদের আইনত অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলেছে।
স্যামসাংয়ের পাল্টা অবস্থান
স্যামসাং অভিযোগ করেছে যে পরিদর্শনকালে তাদের কোনো প্রশ্ন করা হয়নি এবং তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা বিশ্বাস করে ফাঁকা দাগে অভিযোগ করা হয়েছে এবং তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি।
কেন এই মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতে স্যামসাংয়ের বাজার বেশ বড়, ২০২৪ সালে তাদের আয় প্রায় ৯৯৫ মিলিয়ন ডলার ছিল। এজন্য, এই ৬০১ মিলিয়ন ডলারের দাবিকে শুধুমাত্র আর্থিক বিষয় নয়, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা হচ্ছে।
কূটনৈতিক প্রভাবের ধারা কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা দেখার জন্য এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্লেষকরা। এমন মামলার ফলে ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সম্পর্কেও পরিবর্তন আসতে পারে।
স্যামসাংয়ের শুল্ক ফাঁকি মামলার মূল কারণ কী?
স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা পণ্য তালিকাভুক্তির সময় ভুল শ্রেণীকরণ করে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।ভারত সরকার স্যামসাংকে কত অর্থ দাবি করেছে?
ভারত সরকার স্যামসাং ও তাদের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মোট ৬০১ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে।স্যামসাং কোত্থেকে পণ্য আমদানি করেছিল?
স্যামসাং দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনাম থেকে ৪জি নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ আমদানি করেছিল।- স্যামসাংয়ের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
স্যামসাং এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে তাদের অবস্থানে কোনো ভুল নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।