বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ইন্টারনেটে ১০ এবং এনটিটিএনে ২০ শতাংশ দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সামিট কমিউনিকেশনস। ঘোষিত এই দাম ১ মে থেকে কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সামিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ আল ইসলাম।
তিনি বলেন, কোয়ালিটি অব সার্ভিস ঠিক রেখেই ইন্টারনেট মুল্যে এই হ্রাস ঘটবে। ঘোষিত এই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বাড়তি যে ব্যন্ডউইথ প্রয়োজন হবে তা বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি থেকে নেওয়া হবে।
সামিট বলছে, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব- এর উন্নতমানের ইন্টারনেট সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার যে দূরদর্শী উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানায় সামিট।
এছাড়া প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সার্ভিস পয়েন্টগুলোর মধ্যে অধিকাংশ জায়গায় ৯৯.৯৫% এর বেশি সময় সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি সামিটের।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ইন্টারনেটের গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত প্রতিটি উদ্যোগে বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সামিট।
সম্প্রতি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ৫০০ টাকায় সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়।
সামিট বলছে, আইএসপি ইন্ডাস্ট্রি এর ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সরবরাহের সরকারি উদ্যোগকে সমর্থন করতে এবং আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নতমানের ইন্টারনেট সাশ্রয়ী দামে সরবরাহে সহায়তা করতে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)- এর সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, সামিটের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, ১ মে থেকে ইন্টারনেটের এই দাম যাতে কার্যকর হয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে এই মূল্য হ্রাস যাতে ‘বুক ভ্যালু’র উপর না হয়ে ‘মার্কেট ভ্যালু’র উপর নির্ভর করে হয়।
গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশে তিন স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমছে।
তিনি বলেন, ফাইবার অ্যাট হোম আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ও এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ দাম কমাবে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কম্পানি সব আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা।
এদিকে দেশের তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ।
তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যেই সরকার মোবাইল কম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম (নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র-ডেন্স ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) ও ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে। এ অবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।
তিনি বলেন, সরকার মোবাইল অপারেটরগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরগুলোয় পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা।
ফয়েজ আহমেদ বলেন, মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে আসবে। পাশাপাশি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।