জুমবাংলা ডেস্ক : নাড়ির টানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রবাসী সুমন মালেয়শিয়ান স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে। পরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ নিজ বাড়িতে এসেছেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল দুপুরে প্রবাসী সুমন দম্পতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার এআর মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করে। এর আগে সকাল ৬টায় মালেশিয়ার একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তারা।
প্রবাসী সুমন ব্যাপারী মালয়েশিয়া ব্যাবসা করেন। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের মজিবুল হক ব্যাপারীর ছেলে সুমন ব্যাপারী। ২০০৭ সালে জীবিকার তাগিদে মালেয়শিয়া যায় সুমন। ৯ বছর পূর্বে তার সাথে নুর ইনা লিজা নামে মালেয়শিয়ান তরুণীর পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রণয় ঘটে উভয়ের মধ্যে। বর্তমানে এই দম্পত্তির ঘরে সুফিয়া সাফরিনা (৮), আরাফাত (৪) এবং আড়াই বছরের আরমান নামে তিনটি সন্তান রয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহায় মা, বোনসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এবং ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে সস্ত্রীক তিনি বাংলাদেশে আসেন। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর সুমন ব্যাপারীর মা ফাতেমা বেগম, বোন সালমা বেগম, হোসনেয়ারা বেগম ও নিকটাত্মীয় ফারুক পাটওয়ারীসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের ফুলে দিয়ে বরণ করেন।
সুমন ব্যাপারী জানান, ঈদের সময় সড়কগুলো ব্যস্ত থাকে। তাই ঝামেলা এড়াতে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে বাড়ি এসেছেন।
মা ফাতেমা বেগম ছেলে-পুত্রবধু ও নাতি নাতনিদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার ছেলে সুমন এক সময় কষ্ট করেছে সেই দেশে। বর্তমানে সুখে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।