বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : রাতে মেঘমুক্ত আকাশে অসংখ্য নক্ষত্র জ্বল জ্বল করতে দেখা যায়। নক্ষত্র নিয়ে মহাবিশ্বে বিজ্ঞানীদের রহস্যের শেষ নাই। প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হচ্ছে নতুন নতুন গ্রহনক্ষত্র। পৃথিবী থেকে কয়েক হাজার আলোকবর্ষ দূরে সূর্যের চেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের খোঁজ পেল নাসা।
এই নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে হারশেল ৩৬। এই নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে যেমন বড় তেমনই উজ্জ্বল। এটির অবস্থান লাগুন নেবুলার ঠিক মধ্যভাগে। মহাকাশ সংস্থা নাসার হাবেল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই প্রকান্ড নক্ষত্রটি ধরা পড়েছে। নাসা জানিয়েছে, এই তারাটি পৃথিবী থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
হারশেল ৩৬ সূর্যের থেকে প্রায় ২ লক্ষ গুণ উজ্জ্বল এবং ৩২ গুণ বড়। ছবি দেখে অনেকটা মহাজাগতিক ল্যান্ডস্কেপের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে লাগুন নেবুলা সম্পূর্ণটাই অশান্ত গ্যাস, গর্জনকারী নাক্ষত্রিক বাতাসে পরিপূর্ণ। এমনকি এই বিশাল নক্ষত্র থেকে নির্গত হয় তীব্র বিকিরণ। নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই বিশাল নক্ষত্রটি মহাজাগতিক অর্থে অনেক কম বয়সের।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্যকে অন্য সব ক্ষেত্রে পাল্লা দিলেও বয়সে কিন্তু সূর্যের থেকে অনেকটাই নবীন এই নক্ষত্র। এর বয়স মাত্র ১ মিলিয়ন বছর। এখনও হারশেল ৩৬ নিজের জন্মগত বিভিন্ন আয়নযুক্ত গ্যাস নিষ্কাশন করে চলেছে। বড় নক্ষত্র হওয়ায় এটি দ্রুত নিজের জ্বালানি শেষ করছে। তবু আরও ৫ মিলিয়ন বছর এই নক্ষত্রের আয়ু বলে দাবি করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্যকে অন্য সব ক্ষেত্রে পাল্লা দিলেও বয়সে কিন্তু সূর্যের থেকে অনেকটাই নবীন এই নক্ষত্র। এর বয়স মাত্র ১ মিলিয়ন বছর। যেখানে সূর্যের বয়স ৫ বিলিয়ন বছর। এর পরেও আরও ৫ বিলিয়ন বছর সূর্য জীবিত থাকবে মত বিজ্ঞানীদের।
কিন্তু লেগুন নেবুলার মধ্যভাগে অবস্থিত এই প্রকান্ড তারা আর কেবল ৫ মিলিয়ন বছর বাঁচবে বলে জানিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীরা। মূলত, এই নক্ষত্রে অনবরত নির্গত হয়ে চলেছে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেনের মতো আয়নযুক্ত গ্যাস। এই সমস্ত গ্যাসীয় পদার্থ ও ধুলোকণার মিশ্রণে গহ্বর ও শৈলশ্রেণির সৃষ্টি হয়েছে এই নক্ষত্রে।
হাবল টেলিস্কোপ এই নক্ষত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। সেইসঙ্গে নক্ষত্রটি সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। নাসা এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে হাবল টেলিস্কোপ নির্মিত হয়। গত ৩ দশক ধরে মহাকাশের অনেক অজানা বিষয়ই এই টেলিস্কোপ তুলে ধরেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।