সুয়েব রানা, সিলেট : ছাতকের অন্যতম পুরাতন দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাহিদপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা-তে আজ অনুষ্ঠিত হলো এক আবেগঘন আয়োজন—“শিক্ষক সম্মাননা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান”, যা দাখিল ২০১১ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে সম্পন্ন হয়।
“আমাদের মনন ও স্বপ্নগুলোকে যারা মনে ধারণ করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রিয় শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিলিত হন এক অপূর্ব মিলনমেলায়।
২০২৫ সালের এই ২৬ মে সোমবার, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সম্মানিত সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা মোঃ নুরুল হক সাহেব। তিনি বলেন, “একজন শিক্ষকের সত্যিকারের সফলতা তখনই আসে, যখন তার শিক্ষার্থীরা কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা নিয়ে ফিরে আসে। আজকের এই আয়োজন সেই মূল্যবান উদাহরণ।”
এদিন মোট ১৯ জন শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি সকল সম্মানিত শিক্ষকের হাতে নগদ অর্থ হাদিয়াও তুলে দেওয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার এক অনন্য উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন তাঁরা।
এই সম্মাননা প্রদান করেন দাখিল ২০১১ ব্যাচের ৪০ জন ছাত্রছাত্রী, যাঁদের মধ্যে ৯ জন প্রবাসে থাকলেও সকলে একত্রে অংশগ্রহণ করেছেন এই আয়োজনে। দেশ-বিদেশে অবস্থান করেও তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে যুক্ত ছিলেন, যা অনুষ্ঠানটিকে করে তোলে আরও তাৎপর্যময় ও অনন্য। শিক্ষকদের হাতে স্মারক ও হাদিয়া তুলে দেওয়ার সময় আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়, অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মোঃ সফিকুল ইসলাম। সাবলীল ও সুসংগঠিত উপস্থাপনায় তিনি পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রজীবনের স্মৃতি, শিক্ষকদের অবদান, ও মাদ্রাসার প্রতি ভালোবাসা স্মরণ করেন। অনেকে বলেন, “আমাদের জীবনে যা কিছু অর্জন, তার ভিত্তি এই মাদ্রাসা। আজ এখানে ফিরে আসতে পেরে আমরা গর্বিত।”
“যে ব্যক্তি আমাকে একটি বর্ণ শেখায়, আমি তার গোলাম হতে রাজি।” – হজরত আলী (রাঃ)
“একজন ভালো শিক্ষকের প্রভাব কখনোই শেষ হয় না।” – হেনরি এডামস
দীর্ঘ সময় পর সহপাঠী ও শিক্ষকদের সাথে মিলিত হয়ে দাখিল ২০১১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এমন অনুষ্ঠান আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।