Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
    বিভাগীয় সংবাদ

    স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে

    Saiful IslamMarch 27, 20248 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে।

    কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের বিশাল এলাকায় চলে যায়। তবে একটি কুমির বন ছেড়ে মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে।

    মাত্র ১১ দিনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে।

    বিশেষজ্ঞদের আশা, নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবারো সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।

    গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিল সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এরপর এটি মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকেছে।

    বন বিভাগ বলছে, এই গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ সম্পর্কে তারা জানতে চায়।

    বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘আমরা মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের আচরণ ও বসবাসের পরিবেশ বুঝার চেষ্টা করেছি। যে কুমিরটি বনের বাইরে গেছে সে হয়তো তার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছে’।

    কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)।

    আইইউসিএন -এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে’।

    বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে।

    যেভাবে শুরু হলো গবেষণাটি
    গত ১৩ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে মোট চারটি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী কুমির।

    এদের মধ্যে পুরুষ কুমির জুলিয়েট সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির মধুকে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

    এছাড়া বাকি দুটি কুমির ফাঁদ পেতে ধরা হয় সুন্দরবনের খাল থেকে। এই মোট চারটি কুমিরে স্যাটেলাইট ট্যাগ স্থাপন করে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের খালে।

    এই কাজের জন্য আইইউসিএন বাংলাদেশ নিয়ে আসে কুমির গবেষক ড. সামারাভিরা ও পল বেরিকে। তারা দু’জন অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছিলেন।

    আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই গবেষক টিমের পরিকল্পনা ছিল মোট পাঁচটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করি আমরা’।

    তবে শেষ পর্যন্ত একটি বাদে মোট চারটি কুমিরের গায়ে বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।

    কুমিরে কিভাবে বসানো হলো স্যাটেলাইট ট্যাগ?
    গত ১৩ মার্চ সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে বাছাই করা হয় জুলিয়েটকে নামের একটি কুমিরকে। সকালেই সেটির শরীরে ট্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়। ট্যাগ বসানো শেষে ওই কুমিরটিকে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের করমজলের খালে।

    যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা ‘মধু’ নামের আরেকটি কুমির আনা হয়েছিল আগে থেকেই। একই দিন সেটিতেও স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো হয়। পরে সেটিকেও ছাড়া হয় একই খালে।

    ওই গবেষক দল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কিটটি। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি পানির নিচে গেলেও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    কুমিরের গায়ে বসানো এই ট্রান্সমিটার কিটটির মেয়াদ এক বছর। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রে থাকে একটি ক্ষুদ্র অ্যান্টেনা। যেটি সরাসরি যুক্ত থাকে স্যাটেলাইটের সাথে। ট্যাগ লাগানোর পরই চালু হয়ে যায় এর লোকেশন অপশন। সেটি প্রতি ঘণ্টার আপডেট তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করে।

    গবেষক দলের সদস্য দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই কিটটির মেয়াদ এক বছর হলেও এটি চাইলে আরো বাড়ানো যাবে’।

    এর পরের দুই দিন রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা হয় আরো দু’টি কুমির। সেই দুটির গায়েও একইভাবে বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্যাগ।

    কুমিরের মাথার ওপরের অংশে আঁশের মতো যে স্কেল থাকে। ওই স্যাটেলাইট ট্যাগটি বসানোর জন্য সেখানে ছোট একটা ছিদ্র করতে হয়। ওই ছিদ্রের মধ্যেই বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারটি।

    বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই ট্রান্সমিটার চিপটি খুব হালকা। যার ওজন দুই গ্রামেরও কম। যেটি একটি কুমিরের শরীরের ওজনের চেয়েও কয়েকগুণ কম। এই ধরনের চিপ বসানো হলে তাতে কুমিরের কোনো ক্ষতি হয় না’।

    ট্যাগ বসানো কুমিরগুলো এখন কোথায়?
    কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা আরও দুটি কুমিরের গতিপথ পর্যালোচনা করা হচ্ছে ওই দিন থেকেই।

    এই গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর মধ্যে তিনটি কুমিরই আছে সুন্দরবনের মধ্যে। কিন্তু একটি কুমির অন্য পথে চলতে শুরু করেছে।

    ১৬ মার্চ যে কুমিরটিকে সুন্দরবনের জংলা খাল থেকে ধরে গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়, এর পরদিন থেকেই ওই কুমিরটি সুন্দরবন ছেড়ে ছুটছে লোকালয়ের দিকে।

    গত দশ দিনে কুমিরটির গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে।

    স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বর্তমানে বাকি তিনটি কুমিরই এখন অবস্থান করছে সুন্দরবনের মধ্যে নদী ও খালে।

    এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু ট্যাগধারী কুমির দুটি হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। আর অন্য যে কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিলো। সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    তিনটি কুমির সুন্দরবনের মধ্যে থাকলেও একটি কেন এত পথ পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের নদীগুলোতে ঢুকে পড়েছে সেটি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে গবেষক দলেরও।

    গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলছেন, ‘লোনা পানির কুমিরগুলো আসলে কোন কোন দিকে মুভ করে সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের এক গবেষণার ধারণাকে স্পষ্ট করছে’।

    বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিচের দিকে সমুদ্রের কাছে নদীতেও অনেক স্যালাইন থাকে। আবার কোনো কুমির যদি কম লবণাক্ততা পছন্দ করে, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আশপাশের নদী খালগুলোতে যায়।

    বিশেষজ্ঞ আহমেদ বলেন, ‘ওই এলাকার পানিতে লবণাক্ততা কম বলে হয়তো সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। কিংবা সে যা খায় সেগুলো হয়তো সে বেশি পাচ্ছে সে কারণে কুমিরটি ওদিকে অগ্রসর হচ্ছে’।

    কুমির নিয়ে এ ধরনের গবেষণা কেন?
    বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তারপরও এই পরিবেশে লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না।

    আইইউসিএন’র গবেষক দলটি বলছে, কুমির নিয়ে এর আগে কিছু গবেষণা হলেও বিশদ কোনো কাজ হয়নি। এ কারণেই কুমিরের অভ্যাস আচরণ জানার জন্য এই গবেষণাটি করা হচ্ছে।

    আইইউসিএন’র গবেষক দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘কুমির কোন অঞ্চলে ডিম পাড়ে, কোন অঞ্চলে স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কেমন সেটা জানার জন্য এমন গবেষণার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিলও। এবার প্রথমবারের মতো যেটি শুরু হলো।

    বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা লবণাক্ততা বাড়া-কমার কারণেও জীবন জীবিকায় এক ধরনের প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়ছে এই বন্যপ্রাণীটি। কুমিরগুলোকে বাঁচাতে তাই এই ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

    জিআইজেড -এর ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্যা মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া সোয়াস অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণাটি চলছে।

    বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এখন যেভাবে লোনা পানির কুমির নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে মিঠা পানির কুমির নিয়েও এভাবে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করি আমরা’।

    কেন হুমকির মুখে কুমির?
    বাংলাদেশে লোনা পানির কুমির সুন্দরবনের বাইরে দেখা যায় না। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করে। যা আইউসিএন রেড লিস্ট নামে পরিচিত। ওই তালিকায় লোনা পানির কুমিরকে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশেই লোনা পানির কুমির দেখা যায়। এর বাইরে অন্য যেসব কুমির রয়েছে তার অধিকাংশই চিড়িয়াখানাগুলোতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

    তাই কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০০ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে কুমির প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

    কুমির প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আজাদ কবীর বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত কয়েক দফায় এই প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া লোনা পানির ২০০-র বেশি কুমির ছাড়া হয় সুন্দরবনের খালগুলোতে। এর মধ্যে লোনা পানির কুমির আছে ১০৭টি আর মিষ্টি পানির কুমির আছে মাত্র তিনটি।

    গবেষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পানিতে লবণাক্ততা হ্রাস-বৃদ্ধি, নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরা, নৌযান চলাচল বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে বর্তমানে সুন্দরবন থেকে কুমিরের সংখ্যা দিন দিন কমছে।

    বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোর মধ্যে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে জাল ফেলে মাছ ধরা হয় না। মিঠা পানির কুমিরগুলো জালে ধরা পড়ে। অনেক কুমির এ কারণে হারিয়ে গেছে। এ কারণে হুমকিতে আছে লোনা পানির কুমিরও’।

    বর্তমানে সুন্দরবনে কতগুলো কুমির আছে তা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া গেলেও এ নিয়ে সঠিক কোনো জরিপ বা তথ্য নেই বন বিভাগ কিংবা গবেষকদের কাছে। কেন না বিভিন্ন সময় যে গবেষণা হয়েছে সে সব তথ্যে বেশ গড়মিল রয়েছে।

    গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘একটি গবেষণা তথ্য বলছে- সুন্দরবনে কুমির আছে দেড় শ’ থেকে দুই শ’টি। আরেকটি গবেষণার তথ্য বলছে আড়াই থেকে তিন শ’ লোনা পানির কুমির আছে সুন্দরবনে। সঠিক কোনো তথ্য কারো কাছে নেই’।

    এই গবেষক একটি ধারণা দিয়ে বলছেন, সুন্দরবনে কুমির বসবাসের পরিবেশ ও ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কুমির অনেক কম রয়েছে। তবে প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি বলছেন, দুই শ’র বেশি কুমির এখন নেই সুন্দরবনের নদী ও খালে।

    কারণ হিসেবে তারা বলছেন, পর্যটক বৃদ্ধি, মাছ ধরাসহ নানা কারণে আস্তে আস্তে কুমির যে বন থেকে সরে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ হতে পারে এই গবেষণা। যেমনটি দেখা গেছে স্যাটেলাইটের তথ্যেও।
    সূত্র : বিবিসি

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    কুমির ঘুরছে ট্যাগ, নদীতে নিয়ে, বরিশালের বিভাগীয় সংবাদ সুন্দরবনের স্যাটেলাইট
    Related Posts
    রেলওয়ে স্টেশনে মিলল

    রেলওয়ে স্টেশনে মিলল অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ

    August 20, 2025
    কাভার্ডভ্যান চাপায়

    কাভার্ডভ্যান চাপায় শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জন নিহত

    August 20, 2025
    মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির পাশে

    মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির পাশে গ্রেনেড উদ্ধার, আতঙ্কে স্থানীয়রা

    August 20, 2025
    সর্বশেষ খবর
    গ্যাসের সমস্যা কমানোর উপায়

    গ্যাসের সমস্যা কমানোর উপায়: সহজ সমাধান!

    সিলেটে উৎমাছড়া

    সিলেটে উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার

    পুরুষদের মুখের যত্নের নিয়ম

    পুরুষদের মুখের যত্নের নিয়ম: সহজ গাইড

    দ্রুত পড়া মনে রাখার কৌশল

    দ্রুত পড়া মনে রাখার কৌশল: কার্যকরী পদ্ধতি

    রোজায় শরীর চাঙ্গা রাখার সহজ টিপস

    রোজায় শরীর চাঙ্গা রাখার সহজ টিপস

    ডাকসু নির্বাচন : ছাত্রদলের

    ডাকসু নির্বাচন : ছাত্রদলের সম্ভাব্য প্যানেলে ভিপি আবিদুল ইসলাম-জিএস হামিম

    রেলওয়ে স্টেশনে মিলল

    রেলওয়ে স্টেশনে মিলল অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ

    যুক্তরাজ্য থেকে তিন কার্গো

    যুক্তরাজ্য থেকে তিন কার্গো এলএনজি আসছে ১৪৪২ কোটি টাকায়

    সিলেটের বালু ব্যবসায়

    সিলেটের বালু ব্যবসায় শান্তি: লুটপাটেও ঐকমত্য

    বাধ্যতামূলক ছুটিতে গেলেন

    বাধ্যতামূলক ছুটিতে গেলেন বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুল ইসলাম

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.