জুমবাংলা ডেস্ক : গত বছরের ন্যায় এবছরেও তার জমিতে সূর্যমুখীর ভালো ফলন হয়েছে। নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন তার জমিতে ভিড় করছেন। তেলের চাহিদা মেটাতে শেরপুর জেলার পূবশেরীতে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখীতে ছেয়ে গেছে জেলার পূবশেরীর আশরাফ আলীর ফসলের মাঠ।
প্রতি বছরের মত এইবার সূর্যমুখী চাষ করেছেন কিন্তু এ বছরের শুরুতেই তাকে সরকারি ভাবে সরিষার বীজ দেওয়া হয়েছিল। ফলন ভালো হয়ায় এবং বাজারে তেলের বেশি ছাহিদা থাকায় এ সূর্যমুখী থেকে সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার মতো লাভ করবেন বলে তিনি আশাবাদী। প্রত্যেকটি গাছেই ফুল এসেছে। এ গাছের অবশিষ্ট অংশ পশুর খাবার ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তিনি এ বছর তার ১০ কাঠা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।
আশরাফ বলেন, এবার আমি ১০ কাঠা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছি। মাটি উর্বর ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কম খরচ ও সময়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাব বলে আশা করছি। আমি এর আগে সরিষা লাগিয়ে ছিলাম। আমার জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন দেখে সরকার থেকে ট্রাক্টর দিয়েছিল। এ বছর আবার কৃষি অফিস থেকে সূর্যমুখীর বীজ দিয়েছিল। এবারো ভালো ফলন হয়েছে। তবে যারা দেখতে আশে তাদের মধ্যে অনেকেই বাগানে ডুকে ফুল ছিঁড়ছেন। যে কারণে আমার বাগানে ক্ষতি হয়েছে। আশা করছি সূর্যমুখী বীজ বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করতে পারবো।
ক্ষেতের মধ্যে পাওয়া গেল বড় বড় বাইন মাছ, বিশেষ কায়দায় ধরলো যুবক
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, পুষ্টিগুণের দিক থেকে সয়াবিন তেল থেকে সূর্যমুখীর তেল বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের ফলন দেখে আগামীতে চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ আরও বাড়বে। দিন দিন এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।