জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে দিন দিন সুপারির চাষ বাড়ছে। গত বছরে এই জেলায় প্রায় ৬শত কোটি টাকার সুপারি বিক্রি হয়। এখানকার উৎপাদিত সুপারি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। চলতি বছরে এই জেলার উৎপাদিত সুপারি বিক্রি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর রায়পুর রামগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি গাছে ঝুঁলছে সুপারি। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার সুপারির হাটগুলো জমজমাট থাকে। কৃষকরা গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করে বিক্রি ও সংরক্ষনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সুপারি চাষে লাভবান হওয়ায় প্রতি বছর এই অঞ্চলে নতুন নতুন সুপারির বাগান তৈরী হচ্ছে। কৃষকরা সুপারি চাষে ঝুঁকছেন।
চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুপারির আকার ছোট হয়েছে। ফলন গত বছরের তুলনায় কম হলেও সুপারির ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।
এক নারী সুপারি চাষি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর সুপারির ফলন কম হয়েছে। তবে সুপারির দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। তাই আশা করছি লাভবান হতে পারবো।
কৃষকরা জানান, ৬৪ কুড়ি সুপারি ২৫০০-৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সুপারি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হয়।
এক সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, আমরা চাষিদের থেকে সুপারি কিনে স্থানীয় বাজার, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে থাকি। এছাড়াও এখানকার উৎপাদিত সুপারি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। গত বছর সুপারি বিক্রি করে লাভবান হয়েছিলাম। আশা করছি এবছরও লাভবান হতে পারবো।
লক্ষ্মীপুরের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, সুপারি থেকে কোনো কিছু করা যায় কিনা সেই গবেষনা করা দরকার। সুপারি চাষ লাভজনক হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপকভাবে সুপারির চাষ করেন। তিনি আরো বলেন, জেলায় এ বছর ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২০০ হেক্টর বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।