জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথমবারের মতো উত্তর আমেরিকার সুপার ফুড কিনোয়া আবাদে সফল নীলফামারী ও দিনাজপুরের হিলির চাষিরা। ভাত ও রুটির বিকল্প ঔষধিগুণে ভরপুর দানাদার এই শস্য নভোচারীদের প্রধান খাদ্য হিসেবেও পরিচিত। চাষ বাড়ানো গেলে কৃষকদের জীবনমান পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ।
নীলফামারী সদর উপজেলার বটতলীর আশরাফুল ইসলাম। আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে আবাদ করেন কিনোয়া। ৮০ থেকে ৯০ দিনে আবাদে বিঘাপ্রতি খরচ হয় আট-দশ হাজার টাকা। ফলন ছয় থেকে আট মণ। জাতভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা।
চাষী আশরাফুল জানান, আবাদে সহযোগিতা করছেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এবং কৃষি গবেষণার স্যার।
আশরাফুলের সফলতা দেখে কিনোয়া চাষে আগ্রহী আরও অনেক চাষি। তারা জানান, আমন ধান কেটে নিয়ে এর চাষ করা হয়েছে। এটা কাটার পর বোরোর আবাদও করা যাবে। আশানুরূপ ফল পাচ্ছি।
ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে কেনোয়া ও চিয়া চাষে সফল হিলির উদ্যোক্তা শামিম খান। তিনিও প্রেরণার উৎস অন্য চাষিদের।
শামিম খান বলেন, “এক বিঘ জমিতে যে শস্য করবেন সেই একই চাষপদ্ধতি এবং একইরকম সার প্রয়োগ। সরিষা চাষে যদি পান ২ হাজার টাকা বা আড়াই হাজার টাকা মণ, কিন্তু এটাতে যদি আপনি দশ গুন বেশি পান তাহলে কেন এটা করবেননা।”
আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-ই, পটাশিয়াম ও ফাইবারের উৎকৃষ্ট উৎস কিনোয়া। আমিষ ও কার্বোহাইড্রেডসমৃদ্ধ কিনোয়া ও চিয়াসিড ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এর চাষ কৃষি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে- বলছে কৃষি বিভাগ।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, “যেহেতু এটার জীবনকাল খুবই স্বল্প বোরো এবং রোপা আমনের মধ্যবর্তী সময়ে যে জায়গাগুলো অনাবাদী থাকে সেগুলো সহজে আবাদে আনা যাবে কিনোয়া ও চিয়াসিট চাষের মাধ্যমে।”
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাধারণ দরে ৫শ’ টাকা কেজি হিসেবে দেখা যায় প্রতি বিঘায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার কিনোয়া বিক্রি হচ্ছে। হিসাব করে দেখলাম খরচ বাদে চাষীর ৩ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।”
ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের মতোই বাংলাদেশেও জনপ্রিয় খাদ্য হবে কিনোয়া- প্রত্যাশা সবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।