বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন পদার্থ আবিস্কার করেছে যা গোটা পৃথিবীকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। নতুন অত্যুচ্চপরিবাহী (সুপারকন্ডাক্টর) এ পদার্থ আবিস্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা যা বিশ্বের জ্বালানী ও ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে। এনডিটিভি
এ আবিস্কার ট্রেন ও অত্যন্ত কার্যকর ইলেক্ট্রিকাল গ্রিড ব্যবহারের পথ খুলে দিতে পারে।
নিউ সায়েন্টিস্ট জানায়, নিউইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অব রকস্টার এর এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর বাঙ্গা ডিয়াস ও তার সহকর্মীরা দাবি করেন যে, তারা হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন ও লিউটেটিয়াম থেকে এ পদার্থ আবিস্কার করেছেন। মাত্র ৬৯ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা ও ১ গিগা প্যাস্কেল চাপে এ পদার্থ অত্যুচ্চপরিবাহীতে পরিণত হয়। তাহলো ভূ-পৃষ্ঠের বাতাসের চাপের প্রায় ১০ হাজারগুণ। তারপরও এ চাপ হবে এরআগের যেকোন অত্যুচ্চ পরিবাহী পদার্থের চেয়ে অনেক কম।
ডিয়াস বলেন, ‘বলা যায় যে ১৯৪০ এর দশকে আপনি ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছেন এমন সময় একজন ফেরারিকে আপনার পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যেতে দেখলেন, এ হলো এ গবেষনা ও অতীতের গবেষনার মধ্যকার পার্থক্যের নমুনা।’
এ গবেষনার বিষয়টি বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যা চারে প্রকাশিত হয়। গবেষকরা কিভাবে তিনটি উপাদানকে মিশিয়ে পদার্থটি আবিস্কার করেছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন এ নিবন্ধে। দু’টি হীরা খন্ডকে যেভাবে অত্যুচ্চ চাপে পিটিয়ে একত্র করা হয় ঠিক সেভাবে তারা পদার্থটি উদ্ভাবন করেছেন। ন্যাচারের নিবন্ধের শিরোনাম ছিল, ‘ইভিডেন্স অব নেয়ার-এম্বিয়েন্ট সুপারকন্ডাকটিভিটি ইন এ এন-ডপড লিউটেটেনিয়াম হাইডাইড’। উপাদান গুলো একত্রে মিশালে তা নীল থেকে লাল বর্ণ ধারণ করে। গবেষকরা একে ‘লালব বা রেডমেটার’ অভিহিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও ফিজিক্স এর সহকারী অধ্যাপক রাঙ্গা বলেন, এ পদার্থ আবিস্কারের মধ্য দিয়ে অত্যুচ্চপরিবাহিতা ও প্রায়োগিক প্রযুক্তির আরেকটি নতুন যুগের সূচনার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যবহার্য ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, জ্বালানী সরবরাহ লাইন, পরিবহন ও ফিউশনের ক্ষেত্রে অত্যুচ্চপরিবাহিতা অর্জন আজ এক বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।