আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় গত সাত মাস ধরে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সংঘাত হামাসের সঙ্গে শুরু হলেও সেখানে বৈশ্বিক যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে গাজার হাজার হাজার বেসামরিক নারী, শিশুকে হত্যা করছে তেল আবিব। আর এতে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও নীরবতা পালন করছে মার্কিন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। খবর তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলুর।
মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আনাদোলু জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনা কর্মকর্তা সোমবার ঘোষণা করেছেন, গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে ওয়াশিংটনের সমর্থনের প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেছেন। ওই সেনা কর্মকর্তার নাম হ্যারিসন মান। তিনি মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা।
লিঙ্কডিনে প্রকাশিত পদত্যাগপত্রে ওই কর্মকর্তা লিখেছেন, ইসরাইলকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন হাজার হাজার নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও ক্ষুধার মুখে ঠেলে দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে এমন অন্ধ সমর্থনের জেরে লজ্জা এবং অপরাধবোধের কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন হ্যারিসন মান। মার্কিন প্রশাসনের এমন অকুণ্ঠ সমর্থনের ফলেই গাজার সংঘাত আরো দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ঝুঁকিতে আছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যায় মার্কিন মদদের অভিযোগে এটিই পদত্যাগের প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত পদত্যাগ করেন। নিজের পদত্যাগের বিষয়টি সেসময় তিনি নিজেই লিঙ্কডিনে নিশ্চিত করেছিলেন।
এর আগে গত মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার কর্মকর্তা অ্যানেল শেলিন। মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্লেষক মার্কিন সরকারের পক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত দায়িত্বও পালন করতেন।
শেলিনের পদত্যাগের আগে গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরেক কর্মকর্তা জশ পল পদত্যাগ করেন। বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ওই কর্মকর্তা ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর অন্যতম পরিচালক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।