আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চার বছরের এক শিশুর আঙুলের অপারেশন করতে গিয়ে ‘ভুল করে’ জিভের অপারেশন করলেন ডাক্তার। চোখ কপালে তোলার মতো ঘটনাটি ভারতের কেরালার। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ ঘটনা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে কাঠগড়ায় তুলে অনেকেই তুলোধুনা করেন।
শিশুটির পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ের একটি হাতে ছয়টি আঙুল ছিল। অতিরিক্ত আঙুল কেটে ফেলতেই কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের অনুমতি না নিয়ে শিশুর আঙুলের জায়গায় জিভের অপারেশন করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনায় ডাক্তারের গাফিলতি আছে কিনা তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটির এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ছোট একটি অপারেশনে ষষ্ঠ আঙুলটি বাদ দেওয়া সম্ভব ছিল। ডাক্তারদের পরামর্শে তারা অপারেশন করতে রাজি হন। যদিও ওটি থেকে বের হওয়ার পর দেখা যায় শিশুটির চোয়াল-মুখে ব্যান্ডেজ বাঁধা। তখনও তারা বুঝতে পারেননি কী ঘটেছে।
ওই ব্যক্তি বলেন, ‘মেয়ের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি, যে আঙুল কেটে বাদ দেওয়ার কথা সেটি রয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত নার্সকে জানাই। তিনি আমাদের কথা শুনে হাসতে থাকেন। এরপর ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, মেয়ের জিভে একটা জন্মগত সমস্যা ছিল। সেজন্যই অপারেশন করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এরপর ডাক্তার এসে ক্ষমা চান এবং মেয়েকে আঙুলের অপারেশনের জন্য আবারও ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।’
হাসপাতাল সুপারের ভাষ্য, যে সার্জনের অপারেশন করার কথা ছিল তিনি ওটিতে ঢুকে দেখেন শিশুটির টাং-টাই নামে জিভের একটি সমস্যা আছে। সার্জন তা দেখে আঙুল না কেটে জিভে অপারেশন করে দেন, যাতে বড় হলে এই সমস্যা আর না বাড়ে। তবে বাবা-মায়ের অনুমতি না নেওয়াকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।