বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, গত কয়েক দিনে সূর্যের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনেক বেড়ে গিয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে ছোট-বড় বিস্ফোরণ হচ্ছে নক্ষত্রের অন্দরমহলে। একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে সূর্যে।
সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে সৌরজগতেও। সূর্যের বিস্ফোরণের ধাক্কা ফের সজোরে এসে লেগেছে শুক্র গ্রহে। এক সপ্তাহে এই নিয়ে দু’বার সূর্যের আগুনে আঁচে কার্যত ঝলসে গেল পৃথিবীর পড়শি গ্রহ।
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, গত কয়েক দিনে সূর্যের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনেক বেড়ে গিয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে ছোট-বড় বিস্ফোরণ হচ্ছে নক্ষত্রের অন্দরমহলে। গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্র গ্রহের কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান ইউরোপের একটি মহাকাশযান (অরবিটার) সূর্যের এই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পর সরাসরি শুক্রেই ধাক্কা মারল সূর্যের আগুনের আঁচ। নাসার স্টিরিও-এ মহাকাশযানের ক্যামেরায় মহাজাগতিক সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে সূর্যের এই বিস্ফোরণ হয়েছে। দেখা গিয়েছে, আগুনের গোলা পৃথিবীর অবস্থানের বিপরীতে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই দিকেই ছিল শুক্র। সূর্যের বিস্ফোরণের ধাক্কায় কেঁপে ওঠে শুক্র। একে নক্ষত্রের অভ্যন্তরীণ বিস্ফোরণের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী বলছেন বিজ্ঞানীরা। এই ধরনের বিস্ফোরণে আগুনের উদ্গার ঘণ্টায় কয়েক লক্ষ মাইল বেগে ছুটে যেতে পারে। তাতে থাকতে পারে কয়েকশো কোটি টন পদার্থ।
ফলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সূর্যের এই অস্থিরতায় শুধু শুক্রই নয়, বিপদে পড়তে পারে সৌরজগতের আরও অনেক গ্রহ। যে কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ সূর্যের এই বিস্ফোরণের ধাক্কায় কয়েক মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
সূর্যের এই অস্থিরতাকে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ শক্তিশালী সৌরঝড় বলছেন। তাঁদের মতে, সূর্যের মধ্যে এক কোণে বড়সড় একটি ‘স্পট’ বা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই এই ঝড়ের উৎপত্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।