আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাথার উপরে রয়েছে পাঁচটি বই। সেই বইগুলি তার ও টেপ দিয়ে জুড়ে রাখা হয়েছে কপালে। আর এভাবেই দিব্যি ঘুমিয়ে রয়েছে ছোট্ট ছেলেটি। যেন ঘুমের মধ্যেই একসঙ্গে তার মস্তিষ্কে পাঁচটি বইয়ের জ্ঞান পৌঁছাচ্ছে। শুনেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন? তবে যে এমনই এক কাণ্ডের নজির বাস্তবেই সামনে এসেছে। যা দেখে থ হয়ে গিয়েছেন সকলে।
শিক্ষার চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই। তাই তো ছোট থেকেই শিক্ষার জন্য চলতে থাকে যাবতীয় কঠিন কসরত। আজকাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলে পুঁথিগত শিক্ষার সঙ্গেই বেড়েছে স্মার্টফোন, ল্যাবটপ থেকে অনলাইন ক্লাস। ফলে শুধু পাঠ্যবই নয়, সার্বিকভাবে পড়ার অভ্যাসেও প্রভাবই পড়েছে। তবে ঘুমন্ত অবস্থায় কখনও কাউকে পড়তে দেখেছেন? তাও আবার বই থেকে সরাসরি তারের মাধ্যমে ব্রেনে জ্ঞান সঞ্চয়ের নমুনা চোখে পড়েছে? অবিশ্বাস্য সেই কাণ্ডই করতে চেয়েছে একটি ছোট ছেলে। যা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ময়ের শেষ নেই। প্রায়ই মানুষের নানান কীর্তির এমন ভিডিয়ো সামনে আসে যা দেখলে তাজ্জব হতে হয়। তেমনই এবার এক ছোট ছেলের সন্ধান মিলেছে যে ঘুমের মধ্যেই সমস্ত বই পড়ার চেষ্টা করেছে। কীভাবে? সেখানেই তো বিস্ময়ের সূত্রপাত।
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি ছেলে শুয়ে রয়েছে এবং তার ঠিক মাথার উপরে পাঁচটি বই বিছানার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বইগুলি তার ও টেপ দিয়ে জুড়ে রাখা হয়েছে ছেলেটির কপালে। যা দেখে আপনারও চোখ উঠবে কপালে। ভিডিয়োতে ছেলেটি যে ঘরে শুয়েছিল সেখানে ঢুকে হতবাক হয়ে যান আরেক ব্যক্তিও। ছেলের কাণ্ড দেখে মাথা চুলকাতে থাকেন। ভিডিয়োর সঙ্গেই লেখা রয়েছে, ‘এই ছেলেটি 2050 সালে বাঁচে’। ভিডিয়োর মাধ্যমে বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে 2050 সালে প্রযুক্তি এমন জায়গাতেই পৌঁছাবে যেখানে ঘুমের মধ্যেও মানুষ পড়তে পারবে।
তবে কী পড়াশোনা এতটাই সহজ! একেবারেই নয়। তাহলে বিষয়টা কী? আসলে আজকাল আট থেকে আশি সকলেই ভাইরাল হওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। নাচ, গান কিংবা নানান কীর্তিতে নিমেষে বাড়ছে লাইক, ফলোয়ার। এক্ষেত্রেও শুধুমাত্র রিলস তৈরি এবং সর্বোপরি ভাইরালের শিরোনামে উঠে আসতেই এমন কাণ্ডের নজির চোখে পড়েছে।
ভিডিয়োটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ নেটিজেনই বাচ্চাদের এমন ধরনের রিল বানানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ ছোটদের মধ্যে যদি বই নিয়ে রিল বানানোর ঝোঁক বেড়ে যায় তাহলে পড়াশোনার প্রতি মনোসংযোগ নষ্ট হবে বলেই মনে করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।