বিনোদন ডেস্ক : ‘পবিত্র রিস্তা’ ধারবাহিকে অভিনয়ের হাত ধরে নিজের মতো করে পরিচিতি তৈরি করেছিলেন অঙ্কিতা লোখান্ডে ও সুশান্ত সিং রাজপুত। ‘পবিত্র রিস্তা’র পর সুশান্ত বলিউডের নায়ক হয়ে যান, তবে অঙ্কিতা সে অর্থে বলিউডের ছবিতে জায়গা করতে পারেননি। পরের দিকে বলিউডের কিছু ছবিতে অঙ্কিতা অভিনয় করেছেন ঠিকই, তবে ফিল্মি দুনিয়ার তারকা তিনি হয়ে উঠতে পারেননি। যদিও এ ক্ষেত্রে অঙ্কিতার বক্তব্য, সুযোগ পেয়েও স্বেচ্ছায় বহু কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।
অঙ্কিতার কথায়, তিনি একসময় ক্যারিয়ারের থেকে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ককেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তবে এখন সেটা তিনি ভুল করেছিলেন বলেই মনে করেন। এমনকি সুশান্তর সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে সঞ্জয়লীলা বনশালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র মতো ছবিতে কাজ করার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ তখন সুশান্তকে বিয়ে করে সংসারী হতে চেয়েছিলেন অঙ্কিতা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে বিষয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে।
অঙ্কিতা বলেন, ‘বাজিরাও মাস্তানি’র মতো ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আজও তার দুঃখ হয়, তবে তিনি অনুতপ্ত নন। কারণ তিনি স্বেচ্ছায় সেই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন। অঙ্কিতার কথায়, পরে তিনি নিজের জায়গা তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। বর্তমানে স্বামী ভিকি জৈনের সঙ্গে স্বপ্নের জীবন যাপন করছেন।
‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবিতে কাজের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে অঙ্কিতা বলেন, “আমার মনে আছে সঞ্জয় স্যার আমাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘কর লে বাজিরাও বর্না ইয়াদ রাখ, পাছতায়েগি তু (বাজিরাও মাস্তানি কর, না হলে পরে আফসোস করতে হবে)।’ সঞ্জয় স্যার আক্ষরিক অর্থেই আমার প্রশংসা করেছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম, ‘নাহি স্যার, মুঝে শাদি করনি হ্যায় (না, স্যার। আমি বিয়ে করতে চাই)।
’ আমার এখনো সেটা মনে আছে এবং এরপর ওর আর কিছু বলার ছিল না।”
শাহরুখ খান অভিনীত ফারাহ খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিতে একটি চরিত্রের জন্যও অঙ্কিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু একই কারণে অঙ্কিতা সেই প্রস্তাবও ফিরিয়েছিলেন। তবে অঙ্কিতার কথায়, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, সত্যি বলতে কি সে সময় ক্যারিয়ারের থেকে আমি অন্য কিছুকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। তা ছাড়া আমি জানতামও না কিভাবে ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। এখন আমিই সবাইকে বলি ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন দুটোকে আলাদা রাখতে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।