জুমবাংলা ডেস্ক : নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ দেশের একজন প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ছিলেন এবং এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মা সুফিয়া আহমেদ দেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক,ভাষা সংগ্রামী,একুশে পদক প্রাপ্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারপার্সন ছিলেন।
রিফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওডহ্যাম কলেজ থেকে বিএ এবং এমএ পাশ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল এন্ড ডিপ্লোমেসি থেকে ল এবং ডিপ্লোমেসি নিয়ে এমএ পাশ করেন এবং পিএইচডি অর্জন করেন।
বিচারপতি রিফাত ফ্লেচার স্কুলের ফোর্ড ফাউন্ডেশনের পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল’র একজন ফেলো ছিলেন।
তিনি ওয়াশিংটন ডিসি এবং হংকংয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস হাইকমিশনার ফর রিফুজিস এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
বিচারপতি রিফাত ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতের একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০২ সালে আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
তিনি ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের একজন স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ব্রাজিলের গ্লোবাল জুডিশিয়াল ইনস্টিটিউট অন এনভায়ারমেন্টের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
তিনি জার্মানী,মালয়েশিয়া,ফিলিপাইন,ভারত,নেপাল,ইতালি,সিঙ্গাপুর,থাইল্যান্ড,যুক্তরাষ্ট্র,ব্রাজিল এবং মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গোলটেবিল বৈঠক,কর্মশালা,কনভেনশন,স্টাডি ট্যুর ও র্কোসে অংশগ্রহণ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।