সুয়েব রানা : সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ২০২৫-২০২৭কে সামনে রেখে তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দর ব্যবসায়ী কার্যালয়ে এবং সন্ধ্যায় ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পরপর দুটি মতবিনিময় পর্বে ব্যবসায়ীরা চেম্বার প্রার্থীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জৈন্তাপুরের ২নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, আর সঞ্চালনা করেন তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতা ইসমাইল হোসেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, চেম্বার নির্বাচনের প্রার্থী ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মো. নাফিস জুবায়ের চৌধুরী। তাঁরা তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, স্থানীয় বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত অগ্রগতিতে চেম্বার নেতৃত্বকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির পরিচালক পদপ্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউল হক, মুক্তাদির হোসেন তাপাদার, দিবাকর দাশ ঝোটন, মো. রেহান উদ্দিন, মো. ইব্রাহিম খলিল এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন হাজী মামুনুর রশিদ, যিনি সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম প্যানেল থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
হাজী মামুনুর রশিদ সিলেটের ব্যবসায়ী সমাজে একজন অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা ও সংগঠক হিসেবে সুপরিচিত। তিনি মেসার্স আর. কে এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আর. কে স্টোন ক্রাশার-এর প্রোপ্রাইটর। পাশাপাশি তিনি সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট-জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার-সুতারকান্দি বাস মালিক সমিতির সদস্য।
তিনি শুধু ব্যবসায়ী নন, সমাজসেবায়ও সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। হাজী মামুনুর রশিদ সরকারি অনুমোদিত বীজ ডিলার, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সংস্থা, সিলেট-এর আজীবন সদস্য। এছাড়া তিনি অতীতে রোটারি ক্লাব অব সিলেট পাইওনিয়ার-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাজী মামুনুর রশিদ বলেন, তামাবিল স্থলবন্দর শুধু একটি বাণিজ্যকেন্দ্র নয়, এটি পুরো পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার হৃদস্পন্দন। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, দ্রুত সেবা ও কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই স্থলবন্দরকে জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে রূপ দেওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের ব্যবসায়ী সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে আঞ্চলিক অর্থনীতি আরও দৃঢ় হবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সীমান্ত বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ইলিয়াস উদ্দিন লিপু বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরের সুবিধা বৃদ্ধি, দ্রুত ক্লিয়ারিং কার্যক্রম ও আধুনিক লজিস্টিক সেবা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। উপস্থিত ব্যবসায়ীরা সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম প্যানেলের উন্নয়নমুখী অঙ্গীকারে আস্থা রেখে নির্বাচনে তাদের প্রতি সমর্থন জানান।
সভা শেষে ব্যবসায়ীরা ঐকমত্য প্রকাশ করে বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরের উন্নয়ন, ব্যবসায়িক জটিলতা নিরসন এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্বশীল ও দক্ষ নেতৃত্বকে সমর্থন করা হবে।
তাদের বিশ্বাস, হাজী মামুনুর রশিদের মতো নীতিবান, অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বই সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।