সুয়েব রানা, সিলেট : বিগত অনেকদিন ধরে সিলেটের পাথর কোয়ারি গুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এর সাথে জড়িত থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
স্থানীয় মানুষদের কাছে অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি ও শ্রমিকদের ইনকামের একমাত্র অবলম্বন পাথর কোয়ারি। পাথর কোয়ারি গুলো থেকে পরিবেশ সম্মতভাবে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া জরুরী।
দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষার প্রহর কেটে গিয়ে অবশেষে খুলতে যাচ্ছে পাথর কোয়ারিগুলো। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা আফরিন মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বের আদেশটি বাতিল করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রসমূহের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, সারা দেশে গেজেটভুক্ত কোয়ারিসমূহের ইজারা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে এ বিভাগের ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখের ২৮.০০.০০০০.০২৮.৩১. ০০৪.১৮.১২ (অংশ-১)-১৯ নম্বর স্মারকে, “সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি, সিলিকাবালু কোয়ারি, নূরীপাথর, সাদা মাটি উত্তোলনসহ অন্যান্য সকল কোয়ারির ইজারা আপাতত: বন্ধ থাকবে” মর্মে গৃহীত সিদ্ধান্তটি, এতদ্বারা নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো। এতে করে সিলেটসহ সারাদেশ বন্ধ থাকা সকল পাথর ও বালু মহাল থেকে পাথর, বালু, সাদামাটি উত্তোলনে আর বাধা রইল না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাথর উত্তোলন। দীর্ঘদিন কোয়ারি বন্ধ থাকায় কোয়ারি নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো
মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। অনেক ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানের ব্যায়ের খরচ না যোগাতে পেরে, লোকসানের মাধ্যমে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।কাজ না পেয়ে হাজার হাজার শ্রমিকরা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন, অনেক শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তা নিয়ে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা অনেক বার মানববন্ধনে মাধ্যমে দাবি জানিয়েছিলেন, বিগত কয়েক বছর কোয়ারি বন্ধ থাকায়,পাথর উত্তোলন না করার কারণে নদীর প্রবেশ মুখে বড় ধরনের স্তুপাকারে আটকে আছে পাথর।
এতে প্রবল বৃষ্টির সময় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে।
অপরদিকে, দেশে পরিবর্তনের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন চক্র পাথর লুটপাট করছে। এতে দেশের বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
পাথর কোয়ারির এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে আন্দোলন সহ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
অবশেষে দীর্ঘ সাত বছর সময় পেরিয়ে খুলছে পাথর কোয়ারিগুলো। অতি শীঘ্রই গেজেটভুক্ত বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারী সমূহের ইজারা কার্যক্রম শুরু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।