সুয়েব রানা, সিলেট : সিলেটের জৈন্তাপুরে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো উফশী ধান সমলয় চাষাবাদের মাধ্যমে(Synchronize Cultivation) ব্লক প্রদর্শণীর রাইস ট্রান্স প্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) বেলা ১১:০০ ঘটিকায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জৈন্তাপুরের ৩ নং চারীকাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব ভিত্রিখেল গ্রামে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় সিলেট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক খয়ের উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইরফান শাহ্’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) দেবল সরকার, জৈন্তাপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৩ নং চারিকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতান করিম,সিলেট জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন বেলাল,নজরুল ইসলাম,হাবিবুর রহমান,১নং নিজপাট ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন, খাদিজা সুলতানা,২নং জৈন্তাপুর দেলোয়ার হুসেন,৩নং চারীকাটা অরুণাংশ, সমর মোহনধর,৪নং দরবস্ত সুয়েব আহমদ,সালেহ আহমদ,৫নং ফতেহপুর ইশতিয়াক আহমেদ,জাবেদ খলিল,৬নং চিকনাগুল তামান্না আক্তার সহ স্হানীয় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,চলতি মৌসুমে ১ হাজার হেক্টর জমিতে উপজেলায় বোরো ধানের চাষ হচ্ছে।এরমধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলায় মেশিনে পাতা রোপনের মাধ্যমে (ব্রি ধান ৯২) জাতের বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। আউশ,আমন ও বোরো এই তিন মৌসুমে এ চাষ হয়ে থাকে।
সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার ৩ নং চারীকাটা ইউনিয়নের পূর্ব ভিত্রিখেল সহ ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক মাটি ভর্তি ট্রেতে বপন করছে ধানবীজ।সমলয় চাষাবাদের নতুন মাত্রায় মেশিন দিয়ে ৫০ একর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়।
এ সময় ভিত্রিখেল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন,এক বিঘা জমি মেশিন দিয়ে রোপন করতে এক লিটার পেট্রোল লাগে।সময় লাগে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট।খরচ তুলনামূলক অনেক কম থাকায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন,সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় এবার ৫০ একর ব্রি ধান ৯২ জাতের বোরো ধান রোপন করা হচ্ছে।৪ হাজার ৫০০ ট্রে-তে হাইব্রীড ধানের বীজতলা লাগানো হয়েছে। সার ও কীটনাশকসহ কর্তন সরকারি উদ্যোগে করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন,গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের জেলায় কৃষি ক্ষেত্রে জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ব্রি ধান ৯২ চাষ করা হচ্ছে।চাষীদের অর্থের অপচয় কম ও সময় সাশ্রয়।রাইস প্লান্টার এর মাধ্যমে বপন,রোপন, কর্তন সবগুলো হচ্ছে যান্ত্রিকভাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে কৃষিতে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষিতে সরকারি তদারকির পাশাপাশি কৃষক পর্যায়ে বিজ্ঞান সম্মতভাবে আধুনিক কৃষিতে যেন মাঠ পর্যায়ে কৃষক ধারণা লাভ করতে পারে সে দিকে সংশ্লিষ্টদের কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান তিনি। এ সময় তিনি কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শনের পাশাপাশি স্হানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।