স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্টে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল নিউ জিল্যান্ড। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও তাদের দাপট। এই চক্রে সিরিজ জেতার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিল টিম সাউদির দল। কিন্তু সিলেটে প্রথম টেস্টে ১৫০ রানে হারের পর এখন সিরিজ বাঁচানোই তাদের মূল লক্ষ্য। ম্যাচ শেষে হারের আক্ষেপ ঝরলো সাউদির কণ্ঠে। তবে সিলেট স্টেডিয়ামের প্রশংসা করতে ভুললেন না।
এই ম্যাচে হারের শিক্ষা সামনের ম্যাচে কাজে লাগাতে চান জানিয়ে সাউদি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ম্যাচে ভালোই প্রভাব ফেলতে পেরেছি কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের চাপটা নিতে পারিনি। এটা সাময়িক। দীর্ঘ সময়ের জন্য এমনটা থাকবে না। তারপর আপনাকে (ম্যাচ জিততে) ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে সবসময় বড় জুটি গড়তে হবে। শান্ত এখানে ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই চমৎকার একটি ইনিংস খেলেছে। পেছনে ফিরলে অনেক ভুল ধরা পড়বে, সেগুলো একপাশে রেখে আমাদেরকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
ম্যাচে বেশ ভালো বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম-নাঈম হাসানরা ছিলেন বেশ ভয়ঙ্কর। এটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন সাউদি, ‘বাংলাদেশি বোলাররা খুবই হিসেবী এবং ভালো বোলিং করেছে। তাদের বোলিংয়ের ধরণ এমনই। এখানে খেলা যতোই এগিয়ে যায় ব্যাটিং করা ততোই কঠিন হয়ে ওঠে। কারণ ধীরে ধীরে উইকেট টার্নিং হয়ে যায়। তাতে একটু বেশি লাফিয়েও ওঠে। এখানে ব্যাটিং করার পর যখন আউট হবেন তখন পেছনে ফিরে তাকালে মনে হবে কয়েকটি ছোট ছোট জুটি হয়ে গেলেই ম্যাচ জিতে যেতাম।’
নিউ জিল্যান্ড কি দল নির্বাচনে ভুল করেছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে সাউদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন, ‘না (দল নির্বাচনে ভুল)। কন্ডিশন বিবেচনায় আমরা সেরা ১১ জনকেই নিয়েছি। আমাদের বোলিংয়ে কাইল জেমিসন ও ইশ সোধি অসাধারণ ছিল। শেষ সিরিজেও তারা ভালো করেছেন। জেমিসন আমাদের দুর্দান্ত একজন বোলার। সুতরাং ম্যাচের শুরুতেই ম্যাচ জেতানোর মতো একটি একাদশ বেছে নিয়েছিলাম।’
এর আগে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই হারের সঙ্গে এই হারের পার্থক্যে গেলেন না সাউদি। তার ভাষায়, সকল হারের পেছনেই উন্নতির মন্ত্র থাকে, ‘বাংলাদেশ তাদের কন্ডিশনে ভালো দল। তারা এখানে খেলে অভ্যস্ত। আবার নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশন আমাদের জন্য ভালো। সে হিসেবে কোনো হারই আদর্শ নয়। আপনি যতবার হারবেন ততোই শিখবেন। উন্নতির জায়গা খুঁজে পাবেন। এটা উন্নতির লক্ষণ।’
ঢাকা টেস্টেও জেতার জন্য নামবেন বলে জানালেন কিউই অধিনায়ক, ‘আমাদের জন্য (এই হারে) কিছুই বদলাবে না। সামনে যা আছে তা নিয়েই ভাবছি। আমাদের সামনে ঢাকা টেস্ট। আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হলো সেখানে ভালো খেলার চেষ্টা করা। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের পেছনে তাকানোর সু্যোগ নেই। বরং কিভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় সেই উপায় বের করতে হবে।’
শেষে সিলেটের প্রশংসা ঝরলো এই পেসারের কণ্ঠে। সাউদি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা (সিলেট) দারুণ। হোটেলটি ছিলো দুর্দান্ত, মাঠও দুর্দান্ত। যদি ফলাফলের হিসেব বাদ দেই তাহলে আমাদের জন্য এটি একটি স্মরণীয় সফর হয়ে থাকবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।