জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে পাঁচটি খেয়াঘাট রয়েছে। এসব ঘাট পারাপারে ইজারাদারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছামতো টোল আদায় করছেন তারা। ডাব, চারাগাছ কিংবা সবজিরও টোল নেয়া হয় এসব ঘাটে। এমনকি মুমূর্ষু রোগীকেও জিম্মি করে নেয়া হয় অতিরিক্ত টাকা। এ নিয়ে মানববন্ধন ও প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও প্রতিকার পাননি স্থানীয়রা।
সম্প্রতি শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন চরাঞ্চলবাসী। খেয়াঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জোরপূবর্ক টোল আদায় করা হচ্ছে। এক কেজি বেগুন, একটি ডাব, কিংবা একটি গাছেরও টোল আদায় করছে তারা। পদ্মার ভাঙনের কারণে চরাঞ্চলের মানুষকে প্রায় প্রতি বছর বাড়ি ভাঙতে হয়। বাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময় নদী পারাপারে ইজারাদারদের বাধ্যতামূলক দিতে হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এমনকি চাহিদামতো টোলের টাকা পরিশোধ না করতে পারলে আটকে রাখা হয় ভাঙা বাড়ির মালামাল ও মরদেহ।
স্থানীয়রা বলছে, ইজারাদারদের যোগসাজশে নদীতে নৌকার সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ইজারাদাররা বাধ্য করে একটি ডাবেরও টোল নিচ্ছে।
এছাড়া মরদেহ পারাপারেও গুণতে হয় হাজার হাজার টাকা। বিষয়গুলো স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও প্রতিকার মিলেনি।
তবে ঘাট ইজারাদারের দাবি, সরকারি নিয়মে ঘাট ইজারা নিয়েছেন এবং নিয়ম মেনেই টোল আদায় করছেন। শুষ্ক মৌসুমে টাকা নেয়া যাবে না এমন কোন কথা নয়।
শিবগঞ্জ ইউএনও জানান, অতিরিক্ত টোল আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি বাধ্য করে বা জিম্মি করে অতিরিক্ত টোল আদায় করে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।