T-Mobile তার গ্রাহক সেবা পুরোপুরি ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি এখন T-Life সুপার অ্যাপ ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে কর্মচারী ও গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
কর্মচারীদের ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ সার্ভিস এই অ্যাপের মাধ্যমে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণ না করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। AFP এর রিপোর্টে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
T-Life অ্যাপের চাপে কর্মচারীদের বিদায়
T-Life অ্যাপটি নিখুঁত নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অ্যাপটিতে গ্লিচ এবং ব্যবহারের জটিলতা রয়েছে। এটি গ্রাহক এবং কর্মচারী উভয়কেই হতাশ করছে।
চাপের মুখে অনেক কর্মচারীই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। একজন দীর্ঘদিনের কর্মচারী অনলাইনে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, কোম্পানি তার পুরনো রূপ হারিয়েছে।
ডিজিটাল রূপান্তরের মানবিক মূল্য
T-Mobile একটি MVNO মডেলে যাচ্ছে না। তবে এটি একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল অভিজ্ঞতার দিকে এগোচ্ছে। এই পরিবর্তন কোম্পানির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
কর্মচারী মনোবল হ্রাস একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। Bloomberg এর তথ্য অনুযায়ী, এই নীতির বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বিদ্যমান।
গ্রাহক সেবার ভবিষ্যৎ কী?
ডিজিটাল সার্ভিস সুবিধাজনক হলেও ব্যক্তিগত স্পর্শতা অনেক গ্রাহক এখনও দোকানে গিয়ে পরামর্শ পছন্দ করেন।
T-Mobile এর এই সিদ্ধান্ত শিল্পের জন্য একটি প্রিসেডেন্ট তৈরি করতে পারে। Reuters বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, অন্যান্য ক্যারিয়ারও এই মডেল পর্যবেক্ষণ করছে।
T-Mobile এর এই ডিজিটাল রূপান্তর শেষ পর্যন্ত সফল হবে কিনা, তা এখনই বলা কঠিন। তবে, এটি নিঃসন্দেহে টেলিকম শিল্পে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
জেনে রাখুন-
Q1: T-Mobile কি দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে?
পুরোপুরি নয়, কিন্তু ডিজিটাল সার্ভিসে প্রাধান্য দিচ্ছে। দোকানের কার্যক্রম কমিয়ে আনা হচ্ছে।
Q2: T-Life অ্যাপ কি?
T-Mobile এর সুপার অ্যাপ, যার মাধ্যমে সব ধরনের সার্ভিস নেওয়ার পরিকল্পনা।
Q3: কর্মচারীরা কেন চাকরি ছাড়ছেন?
T-Life অ্যাপ ব্যবহারের চাপ এবং কাজের পরিবেশের অবনতির কারণে।
Q4: এই পরিবর্তন গ্রাহকদের কীভাবে প্রভাবিত করবে?
অনলাইন সার্ভিসের সুবিধা পাবেন, কিন্তু ব্যক্তিগত সেবা সীমিত হবে।
Q5: অন্য ক্যারিয়ারগুলোরও কি এমন পরিকল্পনা আছে?
অন্যান্য কোম্পানিগুলো T-Mobile এর এই মডেলের সাফল্য পর্যবেক্ষণ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।