জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেটে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আলোচিত ইসলামিক বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সিলেট বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক মো. আবুল কাশেম তাহেরীর উপস্থিতিতে আদেশ দেন। এর আগে গত ২৪ মার্চ সিলেটের আদালতে হাজির হয়ে মামলার আবেদন করেছিলেন তাহেরী। আজ ৩১ মার্চ এ ব্যাপারে আদেশের তারিখ ধার্য ছিল।
তাহেরীর আইনজীবী এ টি এম ফয়েজ জানান, আদালত তাহেরীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন তাহেরী।
মামলার আবেদনে বলা হয়, তাহেরীর সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ না করেই ২২ মার্চ সিলেটের বালাগঞ্জের পৈলনপুরে ইসলামি সুন্নি মহাসম্মেলনে হাজির থাকার কথা উল্লেখ করে প্রচার চালানো হয়। মাহফিলের পোস্টারেও তার নাম ছাপানো হয়। তার পিএস দাবিদার এক ব্যক্তিকে ৩৩ হাজার টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেছে মাহফিল কমিটি। তবে ওই ব্যক্তিকে তাহেরী চেনেন না।
তাহেরী আরও অভিযোগ করেন, মাহফিলের আয়োজকরা ফেসবুক-ইউটিউবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে। তার বিরুদ্ধে মিছিল করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় আয়োজকরা। এতে তার মানহানি হয়েছে।
অভিযোগ তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাহেরী।
মামলা করার পর আদালত প্রাঙ্গণে তাহেরী জানান, তিনি বালাগঞ্জের মাহফিলের কোনো দাওয়াত পাননি। কে বা কারা তার নাম করে টাকা নিয়েছে তাও জানেন না। তার নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে, তাই তিনি মামলা করেছেন।
বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে ওয়াজ মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান জানান, মাহফিলে আসা বাবদ তার সহকারীকে দুই ধাপে অগ্রিম ৩৩ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল। আগের দিন মাহফিল পরিদর্শনও করে গিয়েছিলেন তাহেরীর এক সহকারী। মাহফিলের দিন সকাল থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের মাঠে ২২ মার্চ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয়রা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।