জুমবাংলা ডেস্ক : নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মতিউরনগরে দেশের আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামী বক্তা ও দাওয়াতে ঈমানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন তাহেরির একটি ওয়াজ মাহফিলকে ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাহেরির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের কওমিপন্থী আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসলামী বক্তা তাহেরিকে প্রতিরোধের দাবিতে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের তালুককান্দি বাজারে রায়পুরা পূর্বাঞ্চল ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদসভায় বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে রায়পুরা উপজেলার অলিপুরা ও রাধানগরের সাহেরচরে স্বৈরাচার আওয়ামী দোসর গিয়াস উদ্দিন তাহেরির আসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল।
ওই ঘটনায় সেখানে একজন নিহতসহ মসজিদ ভাঙচুর ও কোরআন পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। আবারও তাহেরির আগমনকে ঘিরে পূর্বাঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২০১৩ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া হবে না। রায়পুরায় তাহেরি আসতে চাইলে সব আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধ করবে।
তবে তাহেরিকে ছাড়া ওয়াজ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হলে তাতে আপত্তি জানাবে না বলে জানান বক্তারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আগামী ৭ ডিসেম্বর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মতিউরনগরে (রামনগর) একটি ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে গিয়াস উদ্দিন তাহেরির আসার কথা রয়েছে। ওই মাহফিলের আয়োজন করেছেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর উত্তরপাড়া যুবসমাজ নামে একটি সংগঠন। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় তাহেরির আগম উপলক্ষে পোস্টার সাঁটানো ও মাইকিং করা হয়েছে।
এরপর ইসলামী বক্তা তাহেরিকে প্রতিরোধের ডাক দেয় স্থানীয় আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা।
রায়পুরা উপজেলা খেলাফত মজলিশ সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, নরসিংদী জেলা খেলাফত মজলিশ সহসভাপতি মাওলানা শাহ কবির আহমদসহ স্থানীয় আলেম-ওলামা ও স্থানীয় নেতারা।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ইসলামী বক্তা তাহেরিকে প্রতিরোধে প্রতিবাদসভা হয়েছে। ওয়াজ মাহফিলের আয়োজক কমিটির সদস্যদের আমাদের পক্ষ থেকে বোঝাব ওই ইসলামী বক্তাকে না আনার জন্য। তার পরও যদি আসে তাহলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।