বিনোদন ডেস্ক : বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সম্প্রতি আটক করা হয়েছে একটি চক্রকে। যেখানে রয়েছেন পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্তত ১৭ জন। ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক আলী তার গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী।
এই প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এবার জড়িয়েছে অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানের নাম। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই তারকা।
ড. সাদিক আলী দাবি করেন, আবেদ আলী তার গাড়িচালক ছিলেন না। তিনি ছিলেন সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়ি চালক। তাহমিদা বেগম পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন, তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী।
মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কথা বলেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তারপরই প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে আলোচনায় আসে কণ্ঠশিল্পী শিল্পী তাহসান খানের মায়ের নাম।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে, তাহসানের মা জিনাতুন নেসার সময়ে পিএসির প্রশ্নফাঁস কাণ্ড নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান, কিন্তু সে পরীক্ষা পরবর্তীতে বাতিল হয়ে যায়, ফলে বাদ পড়েন তিনি।
এ বিষয়ে রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, ২৪তম বিসিএসের ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়। সেখানে বলা হয়েছে, ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠায় ৩ মার্চ তা বাতিল করে পিএসসি। পরবর্তীতে ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় এবং নিয়ম অনুযায়ী লিখিত ও ভাইবার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
তাহসান এখন রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তাহসান জানান, তিনি কোনো দিন বিসিএস পরীক্ষাই দেননি। বলেন, ‘মানুষ বুঝে এসব ভুয়া খবর। এরই মধ্যে অনেকেই এর প্রতিবাদও করেছে। নানাজন নানানভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আরেকটা কথা, আমি কিন্তু কোনো দিন বিসিএস দিইনি। আর যেই গাড়িচালকের (সৈয়দ আবেদ আলী) কথা বলা হচ্ছে, তিনি কোনো দিন আমার আম্মার গাড়িচালক ছিলেন না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।