বিনোদন ডেস্ক : এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। অন্যদিকে তার সাবেক স্বামী সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। একসময় পর্দায় নিয়মিত একসঙ্গে দেখা যেত তাদের। তবে ২০১৬ সালের পর আর একসঙ্গে পর্দায় দেখা যায়নি এই জুটিকে। সম্প্রতি এপার বাংলার ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে একসঙ্গে পর্দায় ফিরেছেন তারা।
আরিফুর রহমানের সাত পর্বের সিরিজটিতে দীর্ঘদিন পর হাজির হয়ে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তাহসান ও মিথিলা। যদিও ব্যক্তিজীবনে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি আবার প্রশংসায় ভাসছেন। তবে এরই মধ্যে নেটিজেনদের কেউ কেউ আবার কটাক্ষও করছেন এই জুটিকে নিয়ে।
সোশ্যালে অনেকে বলছেন―একমাত্র কন্যাসন্তান তাদের এক করতে না পারলেও টাকার জন্য এক হয়েছেন তাহসান-মিথিলা। আর এ নিয়ে যখন বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে, তখনই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী মিথিলা।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের পর আর আমাদের একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। এর পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৭ সালে বিয়েবিচ্ছেদ হয় আমাদের। তারপর এতবছর পর একসঙ্গে কাজ করলাম। আর আমাদের এই কাজ করা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলা শুরু করল।
মিথিলা বলেন, টাকার জন্য তাহসান-মিথিলা একসঙ্গে কাজ করল, অথচ সন্তানের জন্য একসঙ্গে থাকতে পারল না। কিন্তু মানুষ তো জানেই না অমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আমরা খুব ভালো আছি। দর্শকরা হয়তো ভাবছে, ২০১৬ সালের পর ২০২৪ সালে দেখা হলো তাহসান-মিথিলার। এটা সত্য নয়, প্রতিদিনই তো কথা হয় আমাদের। ব্যাপারটা এমন নয় যে দীর্ঘ বছর পর আমাদের দেখা।
এ অভিনেত্রী জানান, বিয়েবিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি বলেন, সব সম্পর্ক বন্ধুত্বের না-ও হতে পারে। তবে সন্তান থাকলে আগে তার স্বার্থ দেখতে হবে। আমার কাছে আগে সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য। আর এটাই উচিত
তিনি বলেন, আমি আমার মেয়ে আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম। আর এই ইগোর যুদ্ধে তো সন্তানেরই ক্ষতি হবে। তাহসান ও আমি একসঙ্গে চৌদ্দ বছর থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের পরিচয়। দু’জন দু’জনকে বেশ ভালো করে জানি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।