সাধারণত ভিক্ষুকরা টাকার জন্য হাত পাতেন—কিন্তু চট্টগ্রামের কাট্টলী রাসমনি ফিশারিঘাটে ভিন্ন দৃশ্য দেখা যায়। এখানকার ভিক্ষুকরা টাকা নয়, সরাসরি ইলিশ মাছ চায়।
জেলেরা যখন গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ঘাটে ফেরেন বা আড়তে নিলামে মাছ আনেন, তখনই এই ভিক্ষুকরা উপস্থিত হন।
প্রতিটি আড়ত থেকে তারা একটি করে ইলিশ পেতে চান। তবে সাধারণত তাদের ভাগ্য ভাল হয় না; প্রায়ই ছোট বা খানিকটা নষ্ট ইলিশই পেতে হয়।
জেলাদের অভিযোগ, সাগরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের সংখ্যা কমে গেছে।
বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারভাটার সময়ে কিছু মাছ ধরা পড়লেও পরিমাণ আগের মতো নেই। আগে প্রতিটি নৌকা দুই থেকে তিন মণ ইলিশ নিয়ে ফিরত, এখন তা মাত্র বিশ থেকে পঁচিশ কেজি। ফলে আড়তেও ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছে।
রাসমনি ঘাটের একাধিক জেলে জানান, মাছ কম হওয়ার কারণে বাজারেও দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ইলিশ দুই হাজার দুইশো টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বড় আকারের মাছের দাম আরও বেশি। মাছের সংখ্যা কম হওয়ায় ভিক্ষা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
মৎস্য আড়তের কর্মী মোঃ সজিব জানান, বড় ইলিশ সাগরে প্রায় পাওয়া যায় না। সংকটের কারণে আড়তেও হাহাকার চলছে।
ভিক্ষুকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের ইলিশ মৌসুমেই তারা মাছ ভিক্ষা করেন।
কেউ কেউ ছোট বা নষ্ট মাছ অল্প দামে কিনে নেন। এসব মাছ কেউ খেয়ে ফেলে, আবার কেউ গ্রাম বা মহল্লায় কম দামে বিক্রি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।